টি-টোয়েন্টিতে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ২০০ পার বাংলাদেশের

বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে প্রথম ম্যাচের হাওয়া দ্বিতীয় ম্যাচেও লেগেছে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শতরানের জুটি করেছেন লিটন ও রনি। ১২৪ রানের জুটিতে রেকর্ড বইয়ে নাম লিখিয়েছেন লিটন ও রনি। তবে দুজনের বিদায়ের পর কমে আসে রানের গতি। শেষ পর্যন্ত সাকিব-হৃদয়ের ব্যাটে চড়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ২০০ পার করে বাংলাদেশ।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও দারুণ ব্যাটিং নৈপুণ্য দেখাল বাংলাদেশ। লিটন-রনির এনে দেওয়া দারুণ সূচনাকে পরিণতি দিলেন সাকিব-হৃদয় জুটি। তাতে নির্ধারিত ১৭ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান করেছে বাংলাদেশ।

বুধবার (২৯ মার্চ) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ফের টস হারেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক পল স্টার্লিং বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান। তবে ব্যাট হাতে মাঠে প্রবেশের আগেই বৃষ্টি নামে সাগরিকায়। তাতে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট বিলম্বে মাঠে গড়ায় বল। ম্যাচের দৈর্ঘও কমে দাঁড়ায় ১৭ ওভারে।

প্রথম টি-টোয়েন্টির মতো দ্বিতীয়টিতেও লিটন দাস ও রনি তালুকদারের ব্যাটে রানের ফোয়ারা বইছে। মাত্র ৩.৩ ওভারেই এই জুটি তুলে নিয়েছিল অর্ধশতক। এরপর মাত্র ৭.৩ ওভারে তুলে নেয় শতরান। এদিন বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম অর্ধশতক করেছেন লিটন দাস। মাত্র ১৮ বলে অর্ধশতক করেন লিটন। ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাত্র ২০ বলে অর্ধশতক হাঁকিয়েছিলেন আশরাফুল। সে রেকর্ডটি নিজের করে নিলেন লিটন।

২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আশরাফুলের রেকর্ড গড়া সে সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ হারিয়েছিল স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। দ্রুততম অর্ধশতকের তালিকায় লিটনের নাম অবশ্য আরও আগে থেকেই ছিল। ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে মাত্র ২১ বলে অর্ধশতক হাঁকিয়েছিলেন লিটন। যদিও সেদিন বাংলাদ্বশ পাঁচ রানে হেরে আক্ষেপে পুড়েছিল, কিন্তু লিটনের ইনিংস সকলের প্রশংসা পায়।

১২৪ রানের মাথায় এই জুটি ভাঙেন বেন হোয়াইট। এর আগে ২০২১ সালে নাঈম শেখ ও সৌম্য সরকার টি-টোয়েন্টিতে ১০২ রানের ওপেনিং জুটি গড়েছিলেন। সে জুটির রেকর্ড ভাঙলেন লিটন ও রনি।

রনির বিদায়ের পর ব্যাট হাতে নামেন সাকিব আল হাসান। অধিনায়ক মাঠে নামার পর রানের গতি কিছুটা কমে আসে টাইগারদের। এরমধ্যেই বেন হোয়াইট দেখাতে থাকেন স্পিন ভেলকি। লিটনও পা দেন তার ফাঁদে। দলীয় ১৩৮ রানে বেন হোয়াইটের অতিরিক্ত টার্ন করা বলে পরাস্ত হন লিটন। তার ব্যাটের কোনে চুমু খেয়ে বল জমা পড়ে উইকেটকিপার টাকারের হাতে। রনির পর লিটনও পরিণত হন বেন হোয়াইটের শিকারে। এদিন ৪১ বলে ১০ চার ও ৩ ছয়ে ৮৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন লিটন।

লিটন-রনি যেভাবে শুরু করেছিলেন তাতে বাংলাদেশের স্কোর কোথায় গিয়ে থামে তা দেখার বিষয় ছিল। কিন্তু সাকিব আল হাসান ও নতুন নামা তাওহীদ হৃদয় পারেননি রানের সেই গতি ধরে রাখতে। হ্যারি ট্যাকটর ও বেন হোয়াইটের ওয়াইড ডেলিভারিগুলো কাজে লাগাতে ব্যর্থ বাংলাদেশ। পাশাপাশি পেসাররাও শেষের দিকে কিছুটা লাগাম টেনে ধরে। তাতে একসময় ২০০ রান নিয়েও জাগে শঙ্কা।

শেষ ওভারের পঞ্চম বলে হৃদয় যখন আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যায় তখনও ২০০ পূর্ণ করতে এক রান দরকার বাংলাদেশের। মার্ক আডায়ার পরের বলটি ওয়াইড করলে ২০০ রান পূর্ণ হয় বাংলাদেশের। শেষ বলে নাজমুল শান্ত ডাবল নিলে ২০২ রানে থামে টাইগারদের ইনিংস।

সাকিব আল হাসান ২৪ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাওহীদ হৃদয় আউট হওয়ার আগে করেন ১৩ বলে ২৪ রান। তার ইনিংসে ৩ চারের সঙ্গে ছিল ১ ছয়ের মার।

আয়ারল্যান্ডের পক্ষে ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন বেন হোয়াইট। বাকি উইকেটটি নেন মার্ক আডায়ার।

Scroll to Top