মাত্র ৬৪ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর পরও নেদারল্যান্ডস যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সেটা অবিশ্বাস্যই বটে। জিম্বাবুয়ের ঘরের মাঠ হারারে ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ব্লেসিং মুজারাবানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা এবং সিকান্দার রাজাদের মোকাবেলা করে আড়াইশ রানের টার্গেট ছোঁয়া তখন অনেক দূরের স্বপ্ন। সেই স্বপ্নই মিলিয়ে দিয়ে প্রত্যাবর্তনের এক দারুণ গল্প লিখল কমলা জার্সিধারীরা।
এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৮ ওভারের আগে গুটিয়ে যাওয়ার আগে ২৪৯ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। জবাবে এক বল এবং তিন উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় সফরাকারী নেদারল্যান্ডস। ক্যারিয়ারের প্রথম শতক হাঁকিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তেজা নিদামানুরু।
দুই দলের ব্যাটিং এদিন এগিয়েছে একই গতিতে। জিম্বাবুয়ে আগে ব্যাট করতে নেমে ৭০ রানে হারায় তাদের পঞ্চম উইকেট। ৯১ রানে হারায় ষষ্ঠ উইকেট। এরপর মাত্র সাত রান যোগ হতেই দলীয় ৯৮ রানে জিম্বাবুয়ে হারায় তাদের সপ্তম উইকেট। এ সময়ে বলার মতো ইনোসেন্ট কাইয়া ১২, ভেসলি মাদেভেরে ১৭, সিকান্দার রাজা ২২, রায়ান বার্ল ১০ রান করেন।
বাকি তিন উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ে আর কতদূরই বা জেতে পারবে, এমন চিন্তা যারা করেছিলেন তাদের অবাক করেছে ক্রেইগ আরভিনের দল। আসলে অবাক করেছেন সাত নামা ক্লিভ মাদানে। ২৩ বছর ছুঁই ছুঁই এই ব্যাটার অসাধারণ ব্যাট করেছেন। টেল এন্ডারদের সঙ্গে নিয়ে দলীয় রানকে প্রায় আড়াইশতে (২৪৯ রান) নিয়ে গেছেন।
প্রথমে ৭০ রানের জুটি গড়েছেন মাসাকাদজাকে নিয়ে। নবম উইকেটে আরও ৬৬ রান যোগ করেছেন রিচার্ড এনগারাভাবে নিয়ে। মাসাকাদজা ৩৪ এবং এনগারাভা ২৫ রান করেন। এছাড়া মাদানে খেলেন ৭৪ রানের ইনিংস।
নেদারল্যান্ডসের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন ফ্রেড ক্লাসেন। দুটি উইকেট পেয়েছেন পল ভ্যান মিকারেন।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে সফরকারীরা। মাত্র ৬৪ রানে পাঁচ উইকেট তুলে তাদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন জিম্বাবুয়ের বোলাররা। প্রথমে কোলিন অ্যাকারম্যানে ফিফটিতে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দেয় নেদারল্যান্ডস। তিনি ৫০ রান করে আউট হলে জয়ের পথ তখনও অনেক দূরের মনে হচ্ছিল। দলীয় ১১০ রানের সময় আউট হন তিনি।
জিততে হলে ১৯ ওভারে ১৪০ রান দরকার ছিল স্কট অ্যাডওয়ার্ডের দলের। হাতে মাত্র চার উইকেট, কঠিন সমীকরণই ছিল তাদের জন্য। সে কঠিন পথটা টেলএন্ডার সারিজ আহমেদ এবং মিকারেনকে নিয়ে পাড়ি দিলেন নিদামানুরু। তার ৯৬ বলে ১১০ রানের ইনিংসে এক বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় নেদারল্যান্ডস। মিকারেন ৯ বলে ২১ এবং সারিজ ৩০ রান করেন।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। দুটি উইকেট পেয়েছেন এনগারাভা এবং একটি শিকার ব্রাড ইভান্সের।