সিরিজে ইংল্যান্ডকে হারানোর ফর্মুলা খুঁজে পেয়েছে বাংলাদেশ। না, না, বাংলাদেশ দলের কেউ নন। কথাটা বলেছেন ইএসপিএনক্রিকইনফোর যুক্তরাজ্য শাখার সম্পাদক অ্যান্ড্রু মিলারের।
সত্যিকার অর্থেই পরাশক্তি ইংল্যান্ডকে হারানোর সূত্র খুঁজে পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওয়ানডেতে হারের পর টানা তিন ম্যাচে জয়। প্রথমটি ওয়ানডেতে, পরের জয় দুটি টি-টোয়েন্টি সিরিজে। পরশু টানা দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জয়ের মধ্য দিয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটাও জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। যার মধ্যদিয়ে সব পরাশক্তিদের বিপক্ষেই ক্রিকেটের কোনো না কোনো সংস্করণে সিরিজ জয়ের বৃত্ত পূরণ হয়েছে। এবার সুযোগ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ। সাকিব আল হাসানের দল নিশ্চয় সুযোগটা কাজে লাগাতে মরিয়া।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটাই বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ। গত নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর এটাই আবার ইংলিশদের প্রথম দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ। যা এরই মধ্যে হেরে বসেছে ইংলিশরা। আজ তৃতীয় ম্যাচে আবার হোয়াইটওয়াশ হওয়ার শঙ্কা। মোদ্দাকথা, আজ মিরপুরে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিটা দুই দল খেলতে নামছে দুই রকম মনোভাব নিয়ে। সাকিবের দল নামছে চোখের আশার ছবি আঁকিয়ে। জস বাটলারের ইংল্যান্ড নামবে কোনোরকমে ধবলধোলাইয়ের লজ্জা এড়ানোর কামনায়।
সব মিলে বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ১০টি দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে। যার তিনটি সিরিজ ছিল এক ম্যাচের। ২টি দুই ম্যাচের, ৩টি তিন ম্যাচের বাকি ২টি সিরিজ ছিল ৫ ম্যাচের। ২ ম্যাচের দুটি সিরিজের দুটিতেই ২-০তে জিতেছে বাংলাদেশ। ৩ ম্যাচের তিন সিরিজের মধ্যে মাত্র একটিতে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার তৃপ্তি মিলিছে। সেই জয়টা ছিল ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে, আয়ারল্যান্ডের মাটিতে। ৫ ম্যাচের দুই সিরিজের মধ্যে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ এবং নিউজিল্যান্ডকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এই দুটি কীর্তিই ছিল নিজেদের ঘরের মাঠে। আজ সেই ঘরের মাঠেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ।
সেই দিক থেকে আনুষ্ঠানিকতায় রূপ নেওয়া এই ম্যাচটিও বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্বপূর্ণ জয়ের ধারাটা ধরে রাখা। বাংলাদেশ দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনও এটা মানছেন। কিন্তু বিষয়টা বুঝেই বাংলাদেশ দলে কি না পরিবর্তনের আভাস। দলে পরিবর্তনের এই আভাস দিয়েছেন হাবিবুল বাশারই। বলেছেন, ‘অবশ্যই আমরা জিততে চাইব। তবে সেই লক্ষ্যে আমরা যদি (একাদশে) দুই-একটা পরিবর্তন আনতে পারি, দল চাইলে সেটা করতে পারে। আমাদের বেঞ্চটা এখন অনেক শক্ত। স্কোয়াডে যারা আছে, তাদের সবাই একাদশে খেলার যোগ্যতা রাখে।’
হাবিবুলের কথায় বোঝা যাচ্ছে, দলে একাধিক পরিবর্তনও আসতে পারে। আবার অপরিবর্তিত দল নিয়েই নামতে পারে। তবে পরিবর্তন আনলে কাকে বসিয়ে কাকে খেলানো হবে, তা খোলাসা করেননি নির্বাচক হাবিবুল বাশার। টিম ম্যানেজমেন্ট একাদশ কীভাবে সাজাবে, সেটা তাদের ব্যাপার। তবে দেশবাসীর প্রত্যাশা থাকবে একটাই—জয়। ম্যাচ জিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হোয়াইটওয়াশ করা। সাকিব-মিরাজও নিশ্চয় মনে মনে সেই পরিকল্পনাই আঁটছেন
সংবাদ সূত্রঃ ইএসপিএনক্রিকইনফো