জয়ের আশা জাগিয়েও মালানের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের হার

ইংল্যান্ডকে স্বল্প লক্ষ্য দিলেও এক সময়ে বাংলাদেশ বোলিংয়ে চেপে ধরেছিল। তবে দাউদ মালানের দৃঢ় সেঞ্চুরিতে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো বাংলাদেশের। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৩ উইকেটে জয় পেল ইংলিশরা।

মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ বুধবার দুপুর ১২টায় মুখোমুখি হয় দুদল। যেখানে প্রথমে ব্যাট করা বাংলাদেশ ৪৭.২ ওভারে ২০৯ গুটিয়ে যায়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মালানের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেট হারিয়ে ও ৮ বল বাকি থাকতে ২১২ করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড।

২১০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা ইংল্যান্ডের ওপেনার জেসন রয়কে প্রথম ওভারেই তুলে নেন সাকিব আল হাসান। ওভারের শেষ বলে সাকিবকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তামিম ইকবালকে ক্যাচ দেন রয়। আরেক ওপেনার ফিল সল্টকে ব্যক্তিগত ১২ রানে বোল্ড করে ফেরান তাইজুল ইসলাম। পরে ১৩তম ওভারে জেমস ভিন্সকে উইকেটরক্ষক মুশফিকের স্টাম্পিং বানান এই স্পিনার।

ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। ১৭তম ওভারে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচে মাঠ ছাড়েন বাটলার (৯)। দলটির দলীয় শতকের পর অভিষিক্ত উইল জ্যাকসকে ২৬ রানে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজের দ্বিতীয় শিকারে মাঠ ছাড়েন মঈন আলী। ১৪ রান করা এই ব্যাটারকে বোল্ড করেন তিনি।

ক্রিস ওকসকে ৩৯তম ওভারে ফেরান তাইজুল ইসলাম। এটি এই স্পিনারের তৃতীয় উইকেট। তবে উইকেটে অবিচল থাকেন তৃতীয় উইকেটে নামা মালান। এই ব্যাটার ১৩৪ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতক পূর্ণ করেন। শেষ পর্যন্ত ১৪৫ বলে ৮টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১১৪ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। অন্যপ্রান্তে আদিল রশিদ ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন।

বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে তাইজুল ইসলাম ৩টি ও মিরাজ ২টি উইকেট লাভ করেন।

টস জিতে এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। যেখানে উদ্বোধনী জুটিতে ৪.৫ ওভারে ৩৩ রান তোলেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। তবে পঞ্চম ওভারে ক্রিস ওকসের বলে ব্যক্তিগত ৭ রানে এলবি হন লিটন। নবম ওভারে বাংলাদেশ হাফসেঞ্চুরির দেখা পায়। তবে পরের ওভারেই মার্ক উডের বলে ২৩ রানে বোল্ড হন তামিম ইকবাল।

দলীয় সেঞ্চুরির ঠিক আগে-পরে মাঠ ছাড়েন মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান। আদিল রশিদের বলে ব্যক্তিগত ১৭ রানে উডকে ক্যাচ দেন মুশফিক। আর সাকিব মঈন আলীর বলে ৮ রানে বোল্ড হন।

পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৫৩ রান তোলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে দলীয় দেড়শর পর দুজনই দ্রুত ফিরে যান। শান্ত ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি করে রশিদের শিকার হন। তিনি ৮২ বলে ৬টি চারে ৫৮ করেন। আর মাহমুদউল্লাহ ৪৮ বলে ৩১ করে উডের বলে মাঠ ছাড়েন।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো বাংলাদেশ ৭ রানে ব্যবধানে আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজকে হারায়। আফিফকে (৯) রশিদের ক্যাচ বানিয়ে অভিষেক উইকেট নেন উইল জ্যাকস। আর মিরাজকে ৭ রানে ফেরান জোফরা আর্চার।

শেষ দিকে তাসকিন আহমেদের ১৪ ও তাইজুল ইসলামের ১০ রানে কোনো মতে দলীয় দুইশ পার করে বাংলাদেশ। ইংলিশ বোলারদের মধ্যে আর্চার, উড, মঈন ও রশিদ ২টি করে উইকেট পান।