শোয়েব আখতার একজন বিভ্রান্ত সুপারস্টার: কটাক্ষ রমিজের

মাঠের ক্রিকেটে যতটা তর্ক চলে, পাকিস্তান ক্রিকেটে তার থেকেও কয়েকগুণ বেশি তর্ক চলে মাঠের বাইরে। হরহামেশাই চলতে থাকে সাবেক ক্রিকেটারদের দ্বন্দ্ব।

এবার বেশ কয়েকদিন ধরেই পাকিস্তান ক্রিকেটাঙ্গন মাতিয়ে রেখেছেন সাবেক গতি তারকা শোয়েব আখতার। দেশটির বর্তমান ক্রিকেটারদের একের পর এক আক্রমণ করে তিনি পুরো ক্রিকেটপাড়াকে করে তুলেছেন সরগরম। তবে এখানেই শেষ নয়, এই ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’-এর মন্তব্যের পর আসছে পাল্টা মন্তব্য। এ নিয়ে সাবেক ক্রিকেটার কামরান আকমল ও শহীদ আফ্রিদির পর এবার মুখ খুলেছেন সাবেক বোর্ড সভাপতি রমিজ রাজা।

শোয়েবকে উদ্দেশ্য করে সাবেক এই ক্রিকেটার বলছেন, ‘শোয়েব আখতার একজন বিভ্রান্ত সুপারস্টার। তিনি চান সবাই ব্র্যান্ড হোক, কিন্তু তারচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো মানুষ হওয়া।’

এর আগে দেশটির এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শোয়েব আখতার বলেন, ‘খোলাখুলিভাবে বাবরের কথা বলব আমি, পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড হওয়া উচিত তার। কিন্তু সেটা হতে পারছে না? কারণ, সে কথা বলতে পারে না।’

এরপর প্রাক্তন পাক উইকেটরক্ষক ব্যাটার কামরান আকমল শোয়েবের অযাচিত মন্তব্যের পেছনে শিরোনামে আসার প্রবণতার কথা উল্লেখ করেন, ‘শোয়েব আখতার ইদানিং স্ক্রিনের (পর্দা) সামনে আসেন না। এ কারণে বাবরকে নিয়ে মন্তব্য করে শিরোনামে আসতে চেয়েছেন। বাবর আজম আমাদের সুপারস্টার, বিশ্বের নম্বর ওয়ান। মিডিয়া সামাল দেওয়ার বিষয়টিতে সে দিন দিন উন্নতি করছে।’

আকমলের কথার জবাব দিতেও দেরি করেননি শোয়েব। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলছেন, ‘গতকাল আমি কামরান আকমলের কথা শুনছিলাম। সে ‘স্ক্রিন’ শব্দটিকে ‘এসক্রিন’ বলে উচ্চারণ করছিল। তুমি একটি মিডিয়ায় কথা বলছ, কী উচ্চারণ করছ খেয়াল করা দরকার।’

সেই প্রেক্ষাপটেই এবার কথা বলেছেন রমিজ রাজাও। তার মতে, ‘কিছু মানুষের ভুল ধারণা থাকে। শোয়েব আখতার সেরকমই একজন। ওর সঙ্গে কামরান আকমলের একটা সমস্যা ছিল। সবাই ব্র্যান্ড হোক, এটাই চায় শোয়েব। কিন্তু ব্র্যান্ড হওয়ার আগে সবার মানুষ হওয়া উচিত।’

এছাড়াও প্রাক্তন ক্রিকেটারদের শালীনতার মাত্রায় থাকা উচিত উল্লেখ করে রমিজ বলেন, ‘ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা কখনোই প্রকাশ্যে অন্য ক্রিকেটারের সমালোচনা করে না। রাহুল দ্রাবিড়কে নিয়ে সুনীল গাভাস্কার কখনো সবার সামনে সমালোচনা করেননি। কোনোভাবেই প্রাক্তন ক্রিকেটারদের শালীনতার মাত্রা ছাড়ানো উচিত নয়।’