এ যাত্রায় প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) বড় বাঁচা বাঁচল। দলটি লিওনেল মেসির জাদুতে রক্ষা পেল। অতিরিক্ত সময়ে তার নেয়া ফ্রি কিকে গোল পায় ক্রিস্টোফ গালতিয়ের দল। এ গোলের একটু পর শেষ বাজি বাজলে পিএসজি জয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়ে। তবে এই ম্যাচে কিলিয়ান এমবাপ্পে জোড়া গোল করেছেন।
টানা তিন ম্যাচ হারা দলটি আজও পড়েছিল হারের শঙ্কায়। লিগ ওয়ানের ম্যাচে হার এড়াতে শেষ সময়ের আগে দলকে উদ্ধার করেন এমবাপ্পে। নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট আগে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান। এরপর তো মেসির সেই জাদুকরী ফ্রি কিকে ৪-৩ গোলের নাটকীয় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পিএসজি।
এর আগে আধিপত্য বিস্তার করেছে লিলি ওলিম্পিক স্পোর্টি ক্লাব। পার্ক দেস প্রিন্সেসে এসে দলটি চাপে রাখল পিএসজিকেই। যদিও ১১ মিনিটেই গোল করে পিএসজিকে এগিয়ে দেন ফ্রান্স ফরওয়ার্ড এমবাপ্পে; তাকে গোলে সহায়তা করেন ম্যাচের ১৭ মিনিটেই লিড দ্বিগুণ করা নেইমার।
জোড়া গোল হজম করে অবশ্য ম্যাচ থেকে নিজেদের ছিটকে জেতে দেননি লিলির রাইট ব্যাক বাফোর্ড দিয়াকিতে। ২৪ মিনিটের মাথায় আন্দ্রে গোমেজের পাস থেকে দারুণ এক হেডে দলকে এক গোলের স্বস্তি এনে দেন তিনি।
প্রথমার্ধ ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ঘরের মাঠের দলটি। তবে বিরতির পর লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি পিএসজি। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে লিলিকে সমতায় ফেরান কানাডিয়ান ফুটবলার জনাথন ডেভিড।
সমতায় ফিরে যেন আরও চাঙা হয়ে উঠে লিলি। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে গোল করে পিএসজিকে হতাশায় ডুবান লিলির জনাথন বাম্বা। খেলায় প্রথমবার পিছিয়ে পরে গালতিয়ের দল।
এরপর লিড নিয়ে ডিফেন্স আরও জোরদার করে লিলি। তাদের ডিফেন্স ভেঙে গোল দেয়া যখন অসাধ্যই মনে হচ্ছিল তখনই এমবাপ্পের ৮৭ মিনিটের গোল! ফ্রান্স ফরওয়ার্ডের ওই গোলে স্বস্তি ফিরে আসার খানিক বাদেই মেসির গোলে জয় নিশ্চিত করে পিএসজি।