এলাম- খেললাম- জয় করলাম- আন্দ্রে রাসেলের ক্ষেত্রে আজ এই কথাটি প্রযোজ্য। বিমান থেকে নামার কয়েক ঘণ্টা পর মিরপুর শেরে বাংলায় ঝড় বইয়ে দিলেন এই ক্যারিবিয়ান তারকা। তার এবং পাকিস্তানের খুশদিল শাহর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটের জয় পেল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। স্বল্প পুঁজি নিয়েও ফরচুন বরিশাল একটা পর্যায়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল। কিন্তু আন্দ্রে রাসেলের সামনে কোনো বাধাই আর কাজে লাগেনি।
রান তাড়ায় আজ মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গী হিসেবে ছিলেন লিটন দাস। রিজওয়ান ৬ বলে ১১ রান করে আউট হলেও লিটন খেলছিলেন দারুণ। তিনে নেমে জাকের আলী্ ১০ রানের বেশি করতে পারেননি। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস মাত্র ৫ আর মোসাদ্দেক করেন ১ রান। দারুণ খেলতে থাকা লিটন দাস হাতে চোট পেয়েছিলেন। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি। এবাদত হোসেনের বলে বাজে শটে আউট হন ৩৯ বলে ৫ চারাএ ৩৬ রান করে। এরপরই শুরু হয় খুশদিল শাহ আর আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটিং ধামাকা।
৪৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৯ বল হাতে রেখেই তারা কুমিল্লাকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। ১৬ বলে ২ চার ৩ ছক্কায় ৩০* রানে অপরাজিত থাকেন রাসেল। আর খুশদিল ১৯ বলে ৩ চার ১ ছক্কায় ২৩* রানে অপরাজিত থাকেন। আগের তিন ওভারে একটি মেডেনসহ মাত্র ৪ রান দেওয়া সাকিব ১৭তম ওভারে বেদম পিটুনি হজম করেন। রাসেলের দুই ছক্কা আর খুশদিলের এক বাউন্ডারি খেয়ে দেন ১৭ রান। পরের ওভারে মোহাম্মদ ওয়াসিমকে ছক্কা মেরে কুমিল্লাকে ৫ উইকেটের জয় এনে দেন আন্দ্রে রাসেল।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১২১ রানে অল-আউট হয় ফরচুন বরিশাল। দলীয় ৫ রানেই তানভীর ইসলামের শিকার হন এনামুল হক বিজয় (৩) অপর ওপেনার ফজলে মাহমুদল ৮ রান করে রান-আউট হয়ে যান। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহকে আজ নামানো হয় তিন নম্বরে। তার ২৬ বলে ৩ চার ১ ছক্কায় ৩৬ রানই বরিশালের ইনিংসের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আজও রান পাননি। মুকিদুলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১২ বলে করেন ৬! দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন করিম জানাত। ১৯.১ ওভারে ১২১ রানে অল-আউট হয়ে যায় ফরচুন বরিশাল। ৩.১ ওভার বোলিং করে মাত্র ২৩ রানে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন মুকিদুল।