বিপিএলে নাজমুল হোসেন শান্ত ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে আছেন। এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচে ৩৫৬ রান তার। চলমান আসরে সর্বাধিক রানের মালিক তিনি। ব্যাট হাতে মাঠেই যেন সব সমালোচনার ‘কড়া’ জবাব দিচ্ছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের এ ব্যাটসম্যান।
প্রতিনিয়ত সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হতে হয় শান্তকে! সেটি তিনি পারফরম্যান্স করুক বা না করুক। কদিন আগেই সংবাদমাধ্যমকে শান্ত বলেছিলেনÑ ‘সমালোচনা হোক, তবে সেটি যেন হয় গঠনমূলক’। এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান নিজেকে মেলে ধরার মঞ্চ হিসেবে যেন বিপিএলের নবম আসরকে বেছে নিয়েছেন। প্রতিম্যাচেই পারফরম্যান্স করছেন। তার ব্যাটিং গড় ৪৪.৫০। স্ট্রাইকরেট ১১৪.৪৬। সর্বোচ্চ রান ৮৯*। ফিফটি করেছেন ৩টি। শান্তর মতো তার দলও আছে সবার ওপরে। ১০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট স্ট্রাইকার্সের।
ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট পর্ব শেষে সর্বাধিক রান করা ব্যাটসম্যানের তালিকায় সবার শীর্ষে শান্ত। সেরা পাঁচের চারজনই স্থানীয় ক্রিকেটার। জাতীয় দলের বাইরে থাকা নাসির হোসেনও নিজেকে মেলে ধরেছেন। ১০ ম্যাচে ৩৪০ রান ঢাকা ডমিনেটর্সের অধিনায়কের। তিনি আছেন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। তিনে সাকিব আল হাসান। ৯ ম্যাচে (৮ ইনিংস) ৫১ গড়ে ৩১১ রান ফরচুন বরিশাল অধিনায়কের। চতুর্থ স্থানে আছেন খুলনা টাইগার্সের তামিম ইকবাল। ৯ ম্যাচে ৩৭ গড়ে ৩০১ রান করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। আর পাঁচে থাকা ফরচুন বরিশালের ইফতিখার আহমেদ ৯ ম্যাচে ৫৯ গড়ে ২৯৬ রান করেছেন।
বোলারদের তালিকায় সেরা পাঁচের তিনজনই দেশি ক্রিকেটার। তবে টেবিলের প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান দখল করে আছেন দুই পাকিস্তানি। খুলনা টাইগার্সের ওয়াহাব রিয়াজ ৭ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে শীর্ষে। দ্বিতীয় স্থানে আছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের মোহাম্মদ আমির। ১০ ম্যাচে ১৩ উইকেট তার। তিনে থাকা ঢাকা ডমিনেটর্সের নাসির হোসেন ১০ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়েছেন। ৭ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে চারে সিলেট স্ট্রাইকার্সের রেজাউর রাজা। এর পরই আছেন মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা। সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক ১০ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়েছেন।
পয়েন্ট টেবিলে মাশরাফির সিলেটের অবস্থান শীর্ষে। ১০ ম্যাচে তাদের জয় ৮টি। হার ২টি। সমানসংখ্যক ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে ফরচুন বরিশাল ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। তারা ৯টি করে ম্যাচ খেলেছে। ৮ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ অবস্থানে রংপুর রাইডার্স।