বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খুলনা টাইগার্সকে ৩১ রানে হারিয়ে সবার আগে প্লে অফ নিশ্চিত করেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় খুলনার অধিনায়ক ইয়াসির রাব্বি। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রান সংগ্রহ করে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ১৯৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় খুলনা টাইগার্স।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু আভাস দেন দুই ওপেনার নাজমুল শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়। তবে দলীয় ২৫ রানে ১২ বলে ৬ রান করে আউট হন শান্ত।
শান্তর বিদায়ের পর ক্রিজে আসা জাকির হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাটিং তাণ্ডব চালাতে থাকেন তৌহিদ হৃদয়। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১১৪ সংগ্রহ করে এই দুই ব্যাটার। নিজের সাবলীল ব্যাটিংয়ে অর্ধশতক পূরন করেন হৃদয়।
তবে দলীয় ১৩৯ রানে ৪৯ বলে ৭৪ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে আউট হন হৃদয়। অন্যদিকে ৩৬ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন জাকির হাসান। এর পরপরই সাজঘরে ফিরে যান জাকির।
এরপর দলীয় ১৬২ রানে ৭ বলে ৭ রান করে আউট হন মুশফিক। এরপর থিসারা পেরেরার ৭ বলে ঝড়ো ১৭ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রান সংগ্রহ করে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
১৯৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২০ রানেই দুই উইকেট হারায় খুলনা। অ্যান্ডি বালবির্নি ৭ বলে ৭ ও তামিম ১০ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান।
এরপর সাঁই হোপ ও মাহমুদুল জয় মিলে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৫৪ রান যোগ করেন এই দুই ব্যাটার। তবে দলীয় ৭৪ রানে ২২ বলে ৩৩ রান করে আউট হন সাঁই হোপ।
এরপর ক্রিজে আসা আজম খানকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন মাহমুদুল জয়। তবে দলীয় ১০৩ রানে ২১ বলে ২০ রান করে ফিরে যান জয়। জয়ের বিদায়ের পর পরেই সাজঘরের পথ ধরেন আজম খান।
দলীয় ১১৫ রানে ১৭ বলে ৩৩ রান করে আউট হন আজম খান। এরপর দ্রুতই আরও দুই ব্যাটারকে হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় খুলনা। এরপর নাহিদুল ও সাইফউদ্দিন মিলে লড়াই চালিয়ে যান।
তবে দলীয় ১৪১ রানে ১২ বলে ১৩ রান করে আউট হন সাইফউদ্দিন। এরপর দলীয় ১৪৯ রানে ৯ বলে ৯ রান করে আউট হন নাহিদুল। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় খুলনা টাইগার্স। সিলেটের পক্ষে রুবেল হোসেন নেন ৪টি উইকেট।