বিপিএলের নবম আসরটা এখন পর্যন্ত তৌহিদ হৃদয়ের দারুণ কাটছে। চার ম্যাচ খেলে তিন ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের এই ব্যাটার। তিনটিতেই করেন পঞ্চাশোর্ধ রান। এতে দারুণ এক রেকর্ডে নাম লেখালেন তিনি। তামিম ইকবালের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে বিপিএলে করলেন টানা তিন ফিফটির রেকর্ড।
তবে সেই রেকর্ডের রেস না কাটতেই ছিটকে গেলেন তৌহিদ হৃদয়। নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন এই তরুণ তুর্কি। এর আগে কখনো এই টুর্নামেন্টে ফিফটি না পাওয়া হৃদয় হ্যাটট্রিক ফিফটিতে আছেন সর্বোচ্চ রানের তালিকার শীর্ষে। এছাড়াও এবারের বিপিএলে তিন ম্যাচে মাঠে নেমে তিনটিতেই হয়েছেন ম্যাচসেরা।
তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে এবার টুর্নামেন্ট থেকে দুই সপ্তাহের জন্য ছিটকে গেছেন বগুড়ার এই তরুণ। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার সময় ইনজুরিতে পড়েন ২২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
ব্যাট হাতে ৮৪ রান করার পর ফিল্ডিংয়ের সময় বাঁ হাতের আঙুলে আঘাত পান হৃদয়। ঢাকার ইনিংসের ১২তম ওভারে নাসির হোসাইনের শট তালুবন্দী করতে গিয়ে এই ক্রিকেটারের আঙুল ফেটে রক্ত ঝরে। সঙ্গে সঙ্গে মাঠের বাইরে নিয়ে ৮টি সেলাই দেওয়া লাগে হৃদয়ের হাতে।
এ বিষয়ে সিলেটের মিডিয়া ম্যানেজার মিনহাজ উদ্দীন জানিয়েছেন, ‘সিলেট স্ট্রাইকার্সের ব্যাটার তৌহিদ হৃদয়ের আঙুলে ৮টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। আমাদের মেডিকেল টিম থেকে তাকে দুই সপ্তাহের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে তার নিয়মিত ড্রেসিং করা হবে এবং ফলো আপে রাখা হবে।
হৃদয় গতকাল মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) ঢাকা ডোমিনেটর্সের বিপক্ষে ম্যাচে ফিল্ডিংয়ের সময় ইনজুরিতে পড়েছিল। ঢাকার ব্যাটিং ইনিংসের ১২তম ওভারের সময় সিলেট বোলার রেজাউর রাজার বলে নাসির হোসেনের শট ফেরাতে গিয়ে পয়েন্টে থাকা হৃদয়ের আঙুলে আঘাত পায়।’
এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ব্যাটারদের তালিকায় সবার ওপরে আছেন তৌহিদ। তিন ইনিংসে তার রান ১৯৫। ৬৫ গড়ে ব্যাট করা হৃদয়ের স্ট্রাইক রেটটাও দারুণ, ১৬৬.৬৬!
এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছেন তারই সতীর্থ নাজমুল হোসাইন শান্ত। বাঁহাতি এই ব্যাটার চার ইনিংসে ব্যাট করে করেছেন ১৬৭ রান। ৫৫ গড়ে ব্যাট করা শান্তর স্ট্রাইক রেটটাও কিছুটা শান্তই ছিল, ১১৮.৪৩। তালিকার তিনে থাকা পাকিস্তানি ব্যাটার আজম খানের রান ১২৭। এক ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন এই ব্যাটার।