অব্যবস্থাপনা এবং যথার্থ একটি টুর্নামেন্ট হিসেবে এত দিনেও প্রতিষ্ঠিত করতে না পারায় তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেছেন। রাজধানীতে আজ এক অনুষ্ঠানে বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব বলেন, ‘প্রধান নির্বাহির দায়িত্ব পেলে সবকিছু ঠিক করতে আমার সর্বোচ্চ এক থেকে দুই মাস সময় লাগবে।’
গালফ অয়েল কোম্পানির পন্য দূত সাকিব কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে একদিনের জন্য আজ অফিসও করেছেন। দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ বিপিএলকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সাথে তুলনা করতেও রাজি নন সাকিব। তার মতে, বিপিএলের চেয়ে ডিপিএল অনেক ভালো আয়োজন।
তিনি বলেন, ‘ডিপিএল সু-সংগঠিত টুর্নামেন্ট। এখানে ক্লাবগুলো লিগ শুরুর অনেক আগ থেকেই দল গঠন করে। দলগুলো তাদের লক্ষ্য জানে এবং তারা সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে থাকে।’ জনপ্রিয়তার দিক বিবেচনায়ও বিপিএল ব্যর্থ মনে করেন সাকিব। দেশে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তার কথা উল্লেখ করে সাকিব বলেন, ‘গ্রামের যে কোন প্রত্যন্ত অঞ্চলের দিকে তাকান, সবখানেই ক্রিকেট খেলা হচ্ছে। এমন নয়, যে এটির জনপ্রিয়তা নেই। ১৬-২০ কোটি মানুষের দেশে জনপ্রিয় খেলা এবং এটির কোন জনপ্রিয়তা থাকবে না কেন? এটা খুবই দুঃখজনক। আমি অন্তত এটি বিশ্বাস করি না।’
বিপিএল প্রধান নির্বাহির দায়িত্ব পেলে কী করবেন সাকিব?
ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক সাকিব সহজ ভাষায় বলেন, ‘আবার ড্রাফট হবে, নিলাম হবে, বিপিএল হবে ফ্রি টাইমে (খেলোয়াড়দের জন্য), আধুনিক প্রযুক্তি থাকবে। সম্প্রচার ঠিক থাকবে। হোম এবং অ্যাওয়ে ভেন্যু থাকবে।’ বিপিএলের শুরু থেকে কোন ডিআরএস নেই। প্লে-অফ পর্ব থেকে ডিআরএস যোগ হবার কথা। এসবের পেছনে ইচ্ছার অভাব মনে করছেন সাকিব।
তিনি বলেন, ‘বিসিবির সম্ভবত বাজেট-সংকট রয়েছে! ইচ্ছে থাকলে সব কিছু বন্ধ করার কোন কারণ আমি দেখি না। তিন মাস আগে ড্রাফট হতে হবে, ডিআরএস থাকতে হবে। একজন খেলোয়াড় এসে দু’দিন পর চলে যাবে। কেউ জানেনা কে আসবে, কে যাবে। এভাবেই চলছে বিপিএল।’ বিপিএল খেলা খেলোয়াড়দের সেভাবে মুল্যায়ন করা হয়না বলেও মনে করেন সাকিব।
তিনি বলেন, ‘আমি আইপিএলকে এই সমীকরণের বাইরে রাখছি। যখন কেউ বিগ ব্যাশ, পিএসএল বা সিপিএলে ভালো করে তখন তাদেরকে জাতীয় দলে সুযোগ দেয়া হয়। দেশের বাইরে বিপিএল তেমন একটা সম্প্রচার হচ্ছেনা। যে কারণে বিপিএলে ভালো করা বিদেশি খেলোয়াড়রাও নিজ নিজ দেশে নির্বাচনের জন্য বিবেচিত হচ্ছেনা। তবে বিপিএল একটি প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্ট, যারা এখানে ভালো করবে , নিজ নিজ জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়াটা তাদের প্রাপ্য।’