কাজী সালাউদ্দিনের পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করে বাফুফের বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতির (বিএসপিএ)। গত শুক্রবার বিএসপিএ বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ১০ ক্রীড়াবিদ নির্বাচন করেছে। যাতে সেরা হয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান আর দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সাবেক তারকা ফুটবলার তথা বর্তমান বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। দ্বিতীয় হওয়ায় নাকি তিনি নাখোশ হয়েছেন।
বিএসপিএর ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ পুরস্কার বা সম্মাননা দেওয়া হয়েছে ব্যক্তি সালাউদ্দিনকে। কিন্তু সালাউদ্দিন বিষয়টি নিয়ে বাফুফের জরুরি মিটিং ডাকেন। সেই মিটিং থেকে এই পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা আসায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএসপিএ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সামন হোসেনের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এটা আমাদের জন্য নতুন হলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খুবই প্রচলিত সংস্কৃতি। বিএসপিএ অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে কাজটা করেছে এবং ক্রীড়াঙ্গনের সেরাদের সম্মান জানাতে পেরে খুশি। ক্রীড়াবিদদের পুরস্কৃত করা ও সম্মান জানানোর ধারা বিএসপিএর অনেক পুরোনো। \’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, \’সেই ১৯৬৪ সাল থেকে বর্ষসেরা ক্রীড়া পুরস্কার দিয়ে আসছে এবং এটা ক্রীড়াঙ্গনের সর্বপ্রথম, খুবই গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ বলেই বিবেচিত। এটাই আমাদের গর্ব। বিএসপিএ পুরস্কার দিয়ে সম্মান জানিয়েছে সাবেক ফুটবল সুপারস্টার কাজী সালাউদ্দিনকে। এই সম্মাননা তার খেলোয়াড়ি জীবনের কীর্তির জন্য। কিন্তু ব্যক্তির পুরস্কার কী করে বাফুফের নির্বাহী কমিটির বিষয় হয়ে ওঠে, তা আমাদের বোধগম্য নয়। বাফুফের চিঠিতে এটাকে “প্রহসনের পুরস্কার” বলা হয়েছে, যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। প্রথমত, বাফুফে এর কোনো অংশ নয়। দ্বিতীয়ত, প্রহসনের পুরস্কার বললে বাকি পুরস্কারপ্রাপ্ত কীর্তিমানদের অসম্মান করা হয়।