বেলজিয়ামকে বিদায় করল ক্রোয়েশিয়া, কানাডাকে হারিয়ে নক আউটে মরক্কো

শেষ ষোলোতে যেতে জয়ের বিকল্প ছিল না। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি বেলজিয়াম। এফ গ্রুপের ম্যাচে বৃহস্পতিবার ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে বেলজিক শিবির।

বেলজিয়ামকে বিদায় করল ক্রোয়েশিয়া, কানাডাকে হারিয়ে নক আউটে মরক্কো

ড্রর সুবাদে নক আউট পর্বে পৌঁছেছে গত বিশ্বকাপের রানার্স আপ ক্রোয়েশিয়া। একই সময়ে শুরু হওয়া অপর ম্যাচে কানাডাকে ২-১ গোলে হারিয়ে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে পৌছেছে মরক্কো।

গত বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলেছিল বেলজিয়াম। ফাইনালে উঠতে না পারলেও টুর্নামেন্টে তৃতীয়স্থান দখল করেছিল দলটি। এবার গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিল রোমেলো লুকাকুরা। এফ গ্রুপ থেকে সাত পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন মরক্কো। ৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্স আপ মদরিচের ক্রোয়েশিয়া। তৃতীয় স্থানে থাকা বেলজিয়ামের পয়েন্ট ৪। সবার নিচে থাকা কানাডার পয়েন্ট শূন্য।

আহমাদ বিন আলী স্টেডিয়ামে ক্রোয়েশিয়া-বেলজিয়ামের প্রথমার্ধের লড়াই ছিল ম্যাড়ম্যাড়ে। কোন দলই লক্ষ্যে শট নিতে পারেনি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে জমে যায় খেলা। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে ম্যাচে ছিল দারুণ উত্তেজনা। ভাগ্য খারাপ বেলজিয়ামের। একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ট করেছে দলটি। বিশেষ করে অভিজ্ঞ রোমেলো লুকাকু মিস করেছেন বেশকটি সুযোগ। কখনো পোস্ট, কখনো বা ক্রোয়াট গোলরক্ষক বাধার দেয়াল হয়ে দাড়ায় তাদের সামনে। রক্ষণ সামলে আক্রমণ করেছে ক্রোয়েশিয়াও। কিন্তু কাজে আসেনি কোনটি।

অন্যদিকে আল থুমামা স্টেডিয়ামে কানাডা গোলরক্ষকের ভুল কাজে লাগিয়ে চতুর্থ মিনিটে এগিয়ে মরক্কো। ডিফেন্ডারের দুর্বল ব্যাকপাস ক্লিয়ার করতে ডি-বক্সের বাইরে চলে আসেন গোলরক্ষক মিলান বোরিয়ান। জোরাল শট না নিয়ে কিংবা কোনো সতীর্থকে বল না বাড়িয়ে তিনি নেন লক্ষ্যহীন শট। ছুটে এসে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে বল জালে জড়ান হাকিম জিয়াচ (১-০)। ২৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে মরক্কো। গোলটি করেন ইউসেফ এন-নেসিরি।

৪০ মিনিটে ঘটে আত্মঘাতির গোলের ঘটনা। স্যামুয়েলের ক্রস মরক্কো ডিফেন্ডার নায়েফ আগের্দের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। ঝাঁপিয়ে শেষরক্ষা করতে পারেননি গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো। চলতি আসরে এটা প্রথম আত্মঘাতী গোল, বিশ্বকাপের ইতিহাসে শততম।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে এন-নেসিরি জালে বল পাঠান। কিন্তু সে সময়ে আগের্দ গোলরক্ষকের সামনেই দাঁড়িয়ে থাকায় অফসাইডের জন্য মেলেনি গোল। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ হলেও আর গোলের দেখা মেলেনি। দারুণ জয়ে ১৯৮৬ বিশ্বকাপের পর শেষ ষোলোতে যাওয়ার আনন্দে মাতে আফ্রিকান দেশ মরক্কো।