আর্জেন্টিনার খেলাকে ঘিরে কুষ্টিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বড় পর্দা-খাবারের আয়োজন

কাতার বিশ্বকাপের উন্মাদনায় ভাসছে সারা বিশ্ব। বাংলাদেশের মানুষও পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন, শোভাযাত্রাসহ নানান কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রিয় দলের প্রতি সমর্থন ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর কোনো কমতি রাখেনি।

ইতোমধ্যে খেলা নিয়ে তাদের উৎসব, উল্লাস আর উন্মাদনা হাজার হাজার মাইল দূরের মেসি – নেইমারদের কাছে পৌঁছে গেছে। বাংলাদেশের সমর্থকরা স্থান পেয়েছে বিশ্ব গণমাধ্যমেও। স্যোসাল মিডিয়ায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

বিশ্বকাপের এমন আয়োজনের কুষ্টিয়ার ফুটবলপ্রেমীরা কোনো কমতি রাখেনি। বুধবার দিবাগত রাত ১টায় আর্জেন্টিনা- পোলান্ডের হাইভোল্টেজ ম্যাচ উপলক্ষে কুষ্টিয়ায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। বিভিন্ন এলাকার মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে বড় পর্দা। চলছে খাবারের আয়োজন। বুধবার রাতে কুষ্টিয়া শহর ও শহরতলী ছাড়াও কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা, পান্টি, চাপড়া ও চাদপুর ইউনিয়ন এবং কুমারখালী পৌরসভা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে বড় পর্দা। চলছে রান্নাবান্নার কাজ। আর্জেন্টিনা সমর্থকদের উৎসবের মাঝে রয়েছে চাপা টেনশন। অপরদিকে ব্রাজিল সমর্থকরা রয়েছেন ফুরফুরে মেজাজে।

তবে মেসি ভক্তরা প্রত্যাশা করছেন, জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন মেসিরা। ভালো খেলে কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে ঘরে ফিরবেন কোটি মানুষের প্রিয় ফুটবলার মেসি।

যদুবয়রা ইউনিয়নয়ের জোতমোড়া গ্রামের আর্জেন্টিনা সমর্থক সবুজ আলী বলেন, ‘রাতে আমাদের বাঁচা মরার লড়াই। আশা করছি, আর্জেন্টিনা জয়লাভ করবে। খেলা দেখার জন্য বড় পর্দার আয়োজন করা হয়েছে। চলছে খাবারের প্রস্তুতি।’

পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামিউর রহমান সুমন বলেন, ‘আমি আর্জেন্টিনার সমর্থক। খেলার জন্য জেলার সবচেয়ে বড় পর্দার আয়োজন করেছি পান্টিতে। প্রত্যাশা করছি, প্রিয় মেসিরা জয়ের ধারা অব্যাহত রাখবে। কোটি ভক্তের বিশ্বকাপের আনন্দ ধরে রাখবে।’

ব্রাজিলের সমর্থক ও চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুজ্জামান তুষার বলেন, ‘ব্রাজিল সমর্থকরা চাই, আর্জেন্টিনা যেন আজকের ম্যাচে জয়লাভ করে। কারণ, আর্জেন্টিনা – ব্রাজিল ছাড়া বিশ্বকাপ জমবে না।’

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোহসীন হোসাইন বলেন, ‘আজ রাতে হাই ভোল্টেজ খেলা রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বড় পর্দা আর পিকনিকের আয়োজন করেছেন সমর্থকরা। আইন- শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কড়া নজরদারি করছে।’