ইরানকে ৬-২ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ শুরু করেছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারেনি তারা। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিষ্প্রাণ ড্র করে গোলশূন্য ব্যবধানে। ‘বি’ গ্রুপে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা ইংল্যান্ডের জন্য বাদ পড়া বলতে গেলে ‘অসম্ভব’। ওয়েলসের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ৪ গোলের ব্যবধানে না হারলেই হলো, উঠে যাবে দ্বিতীয় রাউন্ডে।
এমন সমীকরণে দাঁড়িয়ে মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় আল রায়ানের আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে ‘লোকাল ডার্বি’ খেলতে নামে বৃহত্তর ব্রিটেনের দুই দেশ। ওয়েলসের বিরিদ্ধে বারবার সুযোগ মিসের খেসারত দেয় ইংল্যান্ড। প্রথমার্ধে থাকতে হয় গোলশূন্য। বিরতির পর ফিরে ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। ওয়েলসের জালে ৩ বার বল জড়িয়ে বড় ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দলটি।
ম্যাচের শুরু থেকেই ওয়েলসকে বেশ চাপে রেখেছিল ইংলিশরা। প্রথমার্ধের প্রায় পুরো সময়ে চলেছে ইংলিশ আধিপত্য। তবে সে সময়ে গোলরক্ষক ড্যানি ওয়ার্ডকে ফাঁকি দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে গোল শূন্য ড্র নিয়ে বিরতিতে যেতে হয় ইংল্যান্ডকে।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল খরা কেটে যায় হ্যারি কেনদের। ৪৯ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া এক ফ্রি কিকে সরাসরি বল জড়ায় গোলে। দুর্দান্ত এই ফ্রি কিক করে দলকে গোল উপহার দেন স্ট্রাইকার মার্কাস র্যাশফোর্ড। ইংল্যান্ড লিড পায় ১-০ গোলে।
এক মিনিট পরেই ইংল্যান্ডের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফিল ফোডেন। এবার সহায়তা করেন তারকা হ্যারি কেন। ৬৭ মিনিটে আবারও গোল পায় ইংলিশরা। ওয়েলসের বিপক্ষে দলের হয়ে তৃতীয় এবং নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন মার্কাস র্যাশফোর্ড। মধ্যমাঠ থেকে বল টেনে এনে চার-পাঁচজন খেলোয়াড়কে বোকা বানিয়ে র্যাশফোর্ড যে গোলটি করলেন, সেটি এক কথায় অনবদ্য।
তিন গোল হজম করে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ওয়েলস। অবশ্য পুরো ম্যাচটিতে বলার মতো তেমন কোনো আক্রমণই করতে পারেনি তাঁরা। শুধু ৭৭ মিনিটে গোলের কিছুটা সুযোগ তৈরি হয়েছিল। তবে নিষ্প্রাণ আক্রমণে গোল আদায় সম্ভব হয়নি।
এ দিন মাঠে নেমেই আক্রমণ শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। তবে প্রথমার্ধে টানা আক্রমণ চালিয়েও ওয়েলসের বিপক্ষে গোলের দেখা পায়নি দলের কেউই। প্রথমার্ধে ১০ মিনিটে হ্যারি কেনের বানানো বলে শট নিয়েছিলেন স্ট্রাইকার মার্কাস র্যাশফোর্ড। তবে ত্রাণকর্তার ভূমিকা রেখেছেন গোলরক্ষক ড্যানি ওয়ার্ড।
এখান থেকে শুরু করে প্রথমার্ধের মুহুর্মুহু ইংলিশ আক্রমণ তিনি বধ করেছিলেন। ১৯ মিনিটেও দলকে গোল হজম করা থেকে বাঁচান তিনি। ২৪ মিনিটেও দেখা যায় তাঁর দুর্দান্ত সেভ। তবে দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষা করতে পারেননি দলকে। শেষ পর্যন্ত ৩-০ গোলের হার নিয়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হলো ওয়েলসকে।