উরুগুয়ের বিপক্ষে জয়ে শেষ ষোলোতে পর্তুগাল

ব্রুনো ফার্নান্দেজের জোড়া গোলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ‘এইচ’ গ্রুপ থেকে সবার আগে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল। শেষ ম্যাচে হার এড়াতে পারলেই গ্রুপ সেরা হবে তারা। অন্যদিকে, এক ড্র ও এক হারে দ্বিতীয় রাউন্ডের সমীকরণ আরও কঠিন হয়েছে উরুগুয়ের।

বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) রাত ১টায় লুসাইল স্টেডিয়ামে লাল উৎসব দেখল ফুটবল বিশ্ব। গত বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হয়েছিল উরুগুয়ে এবং পর্তুগাল। শেষ ১৬’র সেই ম্যাচটি জিতেছিল উরুগুয়ে। এবার তাদের হারিয়ে প্রতিশোধ নিল রোনালদোরা।

উরুগুয়ের বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে নিয়ে শেষ ষোলোতে পর্তুগাল

ম্যাচের শুরু থেকেই পর্তুগাল আক্রমণাত্মক ফুটবলের পসরা সাজায়। বল দখলেও রোনালদো বাহিনী একচেটিয়া আধিপত্য ধরে রাখে। তবে প্রথমার্ধে তৈরি হয়নি তেমন জোরাল সুযোগ।

পর্তুগালের আক্রমণের তোপে প্রথমদিকে অতি রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলেছে উরুগুয়ে। কাভানিরা আক্রমণের চেয়ে নিজেদের রক্ষণের দিকেই বেশি মনোযোগ দিয়েছে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আক্রমণে উঠে আসে তারাও।

৩২তম মিনিটে তেমনি এক কাউন্টার এ্যাটাকে ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন রড্রিগো বেনটাঙ্কুর। কিন্তু ওয়ান-অন-ওয়ানে গোলরক্ষক বরাবর শট নেন টটেনহ্যাম হটস্পারের এই মিডফিল্ডার। এরপর দু্ই দল সমানতালে লড়লেও কোনো সুযোগ তৈরি হয়নি সেভাবে।

নির্ধারিত ৯০ মিনিটে একটি মাত্র শটই লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে পর্তুগাল। সেটাই খুঁজে পেল ঠিকানা। ম্যাচের ৫৪ মিনিটে ব্রুনোর গোলে এগিয়ে যায় পর্তুগাল। তবে প্রথম দিকে মনে হয়েছিল গোলটি রোনালদো করেছেন। দেখে মনে হচ্ছিল, ব্রুনোর ক্রস থেকে দৌড়ে এসে হালকা স্পর্শে বল জালে জড়ান সিআরসেভেন। পরে দেখা গেছে, রোনালদোর স্পর্শই লাগেনি। ব্রুনোর নামেই যোগ হয়েছে গোল।

দলকে লিড এনে দেয়ার পর পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। যোগ করা সময়ের ৩ মিনিটে তিনি দ্বিতীয় গোল দেন পেনাল্টি থেকে। ডি বক্সে ব্রুনোর শটই ক্লিয়ার করতে গিয়ে নীচে পড়ে বল হাতে লাগিয়ে ফেলেন গিমিনেজ। ভারের সহায়তায় রেফারি পেনাল্টি দেন। উরুগুয়ে সেটি মানতে চায়নি। তবে উপায় ছিল না।

রোনালদো যে একাই দলকে টেনে নিতে পারবেন সাফল্যের শিখড়ে, তা নয়। আগের ম্যাচেও ঘানার বিপক্ষে জয়ে জোয়াও ফেলিক্স ও রাফায়েল লিওর গোল টার্নিং পয়েন্ট হয়েছিল। আজ দলকে বাঁচালেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ।