সেনেগালের হৃদয় ভেঙে ডাচদের বিজয় উল্লাস

কাতার ফিফা বিশ্বকাপে জয় দিয়েই অভিযান শুরু করল নেদারল্যান্ডস। ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে ২-০ গোলে হারালো সেনেগালকে। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে চোখে চোখ রেখে লড়াই করে সেই কাজটিই করেছে ফিফা র‍্যাংঙ্কিংয়ে প্রতিপক্ষের চেয়ে ১০ ধাপ পিছিয়ে থাকা সেনেগাল। খেলা দেখে মনেই হয়নি ডাচরা ৮- এ আর সেনেগাল র‍্যাংঙ্কিংয়ের ১৮-তে আছে। বিশ্বকাপ একদিন আগে শুরু হলেও পুরো আমেজটা যেন পাওয়া গেল এই ম্যাচ দিয়ে। রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচটির শেষ দিকের দুই গোলে হৃদয় ভেঙেছে আফ্রিকার সিংহদের। ডাচদের জয় ২-০ ব্যবধানে।

দর্শকরা যেমন খেলা দেখতে চান, নেদারল্যান্ডস-সেনেগালের ম্যাচটা সম্ভবত তেমন কিছুই। প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধেও দারুণ খেলা উপহার দিয়েছে দুই দল। বড় দলের তকমা পাওয়া ডাচরা একটু আধিপত্য দেখালে পরক্ষণেই লাইমলাইটে চলে এসেছে সাদিও মানেহীন অ্যালিও সিসের শিষ্যরা। চোটে বিশ্বকাপ থেকে সাদিও মানে ছিটকে না গেলে হয়তো ম্যাচের ফল অন্য রকমই হতে পারত।

আল থুমামা স্টেডিয়ামে সোমবার (২১ নভেম্বর) শুরু থেকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় সেনেগাল ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে। ম্যাচের ২৫ মিনিটের সময় দারুণ এক আক্রমণ শানায় সেনেগাল। ইসমাইলা সারের বুলেট গতির শট যাচ্ছিল ডাচদের জাল বরাবর, সেই বলে হেড করে দলকে বিপদমুক্ত করেন দলপতি ফন ডাইক। কিছুক্ষণ পর ক্রেপিন দিয়াতাও গোলের চেষ্টা করেছিলেন। তবে তার শটটি চলে যায় গোলপোস্টের একটু বাইরে দিয়ে। প্রথমার্ধের পুরোটা সময় এমন রোমাঞ্চে ভরপুর ছিল স্টেডিয়াম।

প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে দারুণ সুযোগ তৈরি করেছিল নেদারল্যান্ডস। ডেনজেল ডামফ্রিসের সেই সুযোগ নষ্ট হয় বল বারপোস্টের ঠিক উপর দিয়ে যাওয়ায়। ৬৫ মিনিটে মেন্দির কাছ থেকে বল নিয়ে আক্রমণে উঠেন সেনেগালের ইসমাইলা সার। ডাচ রক্ষণভেদ করে দুর্দান্ত এক শটও নেন তিনি। কিন্তু সেই বল দারুণ দক্ষতায় তালুবন্দী করেন নেদারল্যান্ডস গোলরক্ষক আন্দ্রিস নোপার্ট।

ম্যাচের গোলখরা কাটে শেষ বাঁশি বাজার মিনিট দশেক আগে। বার্সেলোনা মিডফিল্ডার হঠাৎ করে বল বাড়িয়ে দেন সেনেগালের ডি বক্সে। সেই বল পান কোডি গ্যাকপো। এদুয়ার্দো মেন্দিকে কোনো সুযোগ না দিয়ে বল জালে প্রবেশ করান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়ে ডাচ শিবির, দৌড়ে গিয়ে গ্যাকপোর উদযাপন তো আছেই। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ হওয়ার পর অতিরিক্ত আরও ৮ মিনিট সময় দেন রেফারি। অতিরিক্ত সময়ে আরেকটি গোল করেন ড্যাভি ক্লাসেন।