ইংল্যান্ড বনাম ইরানের হাই-ভোল্টেজ ম্যাচের প্রথমার্ধটা একপেশে থেকে শেষ হলো। ইংলিশদের আক্রমণ সামলাতেই পর্যুদস্তু এশিয়ার দেশটি, প্রথমার্ধেই ইরান হজম করেছে তিন গোল। জুদে বেলিংঘামের পর বুকায়ো সাকা, এরপর জালের দেখা পেয়েছেন রাহিম স্টার্লিংও। বিপরীতে অন-টার্গেটে একটিও শট নিতে পারেনি ইরান।
খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আজ সোমবার (২১ নভেম্বর) ম্যাচের ৮ মিনিটের মাথায় গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল ইংল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত বিফলেই যায় তাদের সে চেষ্টা। দুই মিনিট পর ইরানের গোলরক্ষক আলিরেজা বেইরানভান্দ চোটে পড়েন। ঝাপিয়ে বল ধরতে গিয়ে সতীর্থের কপালের সঙ্গে নাক লাগে তার। সঙ্গে সঙ্গে অঝোরে রক্ত পড়তে থাকে। সেবা-শুশ্রুষার পর ম্যাচ শুরু হলেও কিছুক্ষণ পর মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। বদলি হিসেবে নামেন হোসেন হোসিইনি।
আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসা ইংল্যান্ড তবুও গোলের দেখা পাচ্ছিল না। কখনও কাছাকাছি গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে, তো কখনও শট গেছে গোলপোস্টের বাইরে দিয়ে। ৩৫ মিনিটের সময় সেই ডেডলক ভাঙেন জুদে বেলিংঘাম। লুক শর নেয়া শটে হেডে গোল করেন তিনি। প্রথমার্ধের বাকিটা সময়ও আধিপত্য ধরে খেলে সাউথগেটের শিষ্যরা।
তার ফলও পায় ম্যাচের ৪২ মিনিটে। কর্নার কিক থেকে ভেসে আসা বলে মাথা ছোঁয়ান হ্যারি ম্যাগুয়ের। সেই বল যায় বুকায়ো সাকার সামনে। সাকার শট বাঁক খেয়ে ইরানের জালে প্রবেশ করে। প্রথমার্ধে শেষ গোলটি করেন রাহিম স্টার্লিং, অ্যাসিস্টদাতার খাতায় নাম লেখান অধিনায়ক হ্যারি কেন।
ইংল্যান্ড একাদশ
জর্ডান পিকফোর্ড; কেভিন ট্রিপিয়ার, জন স্টোন্স, হ্যারি ম্যাগুয়ের, লুক শ; জ্যুড বেলিংহ্যাম, ডেক্লান রাইস, বুকায়ো সাকা, ম্যাসন মাউন্ট, রাহিম স্টার্লিং; হ্যারি কেইন।
ইরান একাদশ
আলি রেজা বেইরানভান্দ; মোহাররামি, চেশমি, হোসেন হোসেইনি, পৌরালিগঞ্জি, মোহাম্মাদী, জাহানবখশ, হাজসাফি, কারিমি, নৌরল্লাহি, তারেমি।