টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়াকে ৮৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে শুভ সুচনা করেছে নিউজিল্যান্ড। ডেভন কনওয়ের হার না মানা ৯২ রানের উপর ভর করে ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান সংগ্রহ করেছিল কেন উইলিয়ামসনের দল। জবাবে, কিউইদের চোখ ধাঁধানো বোলিং ফিল্ডিংয়ে নাজেহাল হয়ে ১৭.১ ওভারে মাত্র ১১১ রানেই অলআউট হয় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।
ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং- তিন ডিপার্টমেন্টেই অস্ট্রেলিয়াকে ঢেকে দিয়েছে কেন উইলিয়ামসনের দল। সিডনিতে ২০১ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লের মধ্যেই ৩ টপ অর্ডার ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। টিম সাউদির বলে অদ্ভুত উপায়ে প্লেইড অন হয়ে মাত্র ৫ রানে সাজঘরে ফিরেছেন ওয়ার্নার। তারপর মিচেল স্যান্টনারের বলে মাত্র ১৩ রানেই আউট হয়েছেন ফর্ম খুঁজতে থাকা ফিঞ্চ। গত বিশ্বকাপে অজিদের সাফল্যের আরেক নায়ক মিচেল মার্শও আজ বেশি সময় ক্রিজে টিকতে পারেননি। সাউদির দ্বিতীয় শিকার হয়ে ব্যক্তিগত ১৬ রান করে আউট হয়েছেন মার্শ।
এরপর মার্কাস স্টয়নিসের আউটেই পরিষ্কার, কেন ফিল্ডিং সাইড হিসেবে আসরের অন্যতম সেরা দল নিউজিল্যান্ড। মিচেল স্যান্টনারের বলে মার্কাস স্টয়নিসের হাওয়ায় ভাষিয়ে মারা শট তালুবন্দি করতে হঠাৎই সুপারম্যান বনে গেলেন গ্লেন ফিলিপস! তারপর হার্ড হিটার টিম ডেভিডকে নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন মিচেল স্যান্টনার।
তারপর ম্যাথু ওয়েড ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের দিকেই অমানবীয় কিছুর জন্যই হয়তো তাকিয়ে ছিল অজি সমর্থকরা। ২০ বলে ২৮ রান করে ইশ সোধিকে সুইচ হিটে উড়িয়ে মারতে গয়ে বোলদ হন ম্যাক্সওয়েল। আর লোকি ফার্গুসেনের বাড়তি পেসে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ওয়েড। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে টিম সাউদি মাত্র ৬ রান খরচায় এবং মিচেল স্যান্টনার ৩১ রানে তুলে নিয়েছেন ৩টি উইকেট। ট্রেন্ট বোল্ট নিয়েছেন ২ উইকেট।
এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ডেভন কনওয়ের হার না মানা ৯২ রানের উপর ভর করে ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান সংগ্রহ করেছে কেন উইলিয়ামসনের দল। ওপেনার ফিন অ্যালেন খেলেন ৫ চার ও ৩ ছয়ের খেলেছেন ১৬ বলে ৪২ রানের ইনিংস।