ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজে নিয়ম রক্ষার ম্যাচেও পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে হেরেছে। এ সিরিজে বাংলাদেশ একটি ম্যাচ ও জিততে পারেনি। নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচে দুইবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এবং একবার পাকিস্তানের বিপক্ষে হারে টাইগাররা।
বৃহস্পতিবার ক্রাইস্টচার্চে টস জিতে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১ বল হাতে রেখেই ১৭৪ রান করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম ও মোহাম্মাদ রিজওয়ানের বিপক্ষে শুরুর ওভারটা করেছিলেন হাসান মাহমুদ, রান দিয়েছিলেন তিনটি। এরপর তাসকিন আহমেদও এসে তিন রান দেন। বাংলাদেশের ‘ভালো’ শুরুটা উবে গেল তৃতীয় ওভার থেকে। শরিফুল ইসলামকে চার মেরে হাত খোলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তাসকিনের পরের ওভারে বাবরও চার মেরে গা ঝাড়া দিয়ে ওঠেন।
সেই যে দুর্দশার শুরু বাংলাদেশের, তার শেষ হলো না আর। ইনিংসের সপ্তম ওভার পর্যন্ত অন্তত একটি করে চার বের করেছে পাকিস্তান। মাঝে ৪, ৫ আর ৬ নম্বর ওভারে চার এসেছে দুটো করে।
অবস্থা বেগতিক দেখে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নিজেই আসেন আক্রমণে। সে ওভার থেকে পাকিস্তান কোনো বাউন্ডারি মারতে পারেনি। তুলতে পেরেছে ৪ রান। সাকিব পাকিস্তানের চার মারায় লাগাম টানতে পারলেও উইকেট ফেলতে পারেননি।
১৩ তম ওভারে সফলতা পান পেসার হাসান মাহমুদ। তৃতীয় বলটি স্লোয়ার মারেন এই পেসার। এ ফাঁদেই পা দিলেন পাক অভিজ্ঞ ব্যাটার বাবর আজম। উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরে পড়েন মোসাদ্দেকের হাতে। তবে ফেরার আগে দলের জায়গা পোক্ত করে দিয়ে গেছেন পাক অধিনায়ক। খেলছেন ৫৫ রানের ইনিংস। হাসান মাহমুদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি হায়দার আলী। ওভারে পঞ্চম বলেই হাসানের ইয়র্কারে ধরা পড়েন তিনি। শূন্য রানেই ঘরে ফেরেন এ ব্যাটার।
শেষ দিকে এসে সৌম্য সরকারের বলে রান উইট হয়ে থামেন রিজওয়ান। খেলেছেন ৬৯ রানের ইনিংস। এরপর আর উইকেটের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। মোহাম্মদ নেওয়াজ(৪৫*) ও আসিফ আলীর (২*) ব্যাটে জয় ছিনিয়ে নেয় পাকিস্তান।
এর আগে শুরুতে ওপেনে করতে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও সৌম্য সরকার। নাসিম শাহর করা প্রথম ওভারে ৬ বল মোকাবেলা করেও একটি রান নিতে পারেননি শান্ত।
প্রথম দুই ওভারে মাত্র ৭ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। ৯ বল খেলে রানের খাতা খোলেন শান্ত। পরাস্ত হয়েছেন কয়েকবার। এর মধ্যে উইকেট বিলিয়ে দিলেন সৌম্য সরকার।
নাসিম শাহর করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলটি তুলে মারতে গিয়ে মিডঅনে ৩০ গজ বৃত্তের মধ্যে ধরা পড়েছেন সৌম্য (৪ বলে ৪)। তাকে ওপেনিংয়ে তুলে আনার সিদ্ধান্ত কাজে লাগলো না।
এরপর মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে রিজওনের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ঘরে ফেরেন শান্ত। খেলেছেন ১৫ বলে ১২ রানের ইনিংস। দুই দিন পর শুরু টি-২০ বিশ্বকাপ। এখনো ওপেনিং ঠিক করতে পারেনি বাংলাদেশ দল।
যদিও লিটন দাস ও সাকিবের ব্যাটে ভালোই এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে ওয়াসিমের বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন লিটন দাস। খেলছেন ৬৯ রানের অনবদ্য ইনিংস। তুলে নিয়েছেন টি-২০ ক্যারিয়ারে ষষ্ঠ ফিফটি। ৬৮ রান করে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন সাকিবও। আফিফ আর ইয়াসির আলি রাব্বিও দাঁড়াতে পারেনি ক্রিজে। আফিফ ১১ ও রাব্বি ১ রানের ইনিংস খেলেন। সোহান ও সাইফউদ্দিন অপরাজিত ২ ও ১ রানে ১৭৩ থেমেছিল বাংলাদেশ।