আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডকে ১১ রানে হারিয়ে বাংলাদেশ ফাইনালে ওঠার পাশাপাশি বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস হেরে বাংলাদেশ আগে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০২ রানের বেশি করতে পারেনি থাইল্যান্ড। ১১ রানের জয়ে বাছাইপর্বের ফাইনালে জায়গা করে নেয় সালমা-নাহিদারা। আর দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিটও নিশ্চিত করে।
এর আগে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সরাসরি খেলেছিল স্বাগতিক হিসেবে। এরপর ২০১৫, ২০১৮, ২০১৯ সালে বাছাইপর্বে রানার্সআপ ও দুইবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপে খেলে টাইগ্রেসরা।
এদিন টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ফারজানা হক ও মুর্শিদা খাতুন ৩৪ রানের জুটি গড়েন। এই রানে আউট হন ফারজানা। তিনি ১৭ বলে ১ চারে ১১ রান করে যান। ৫২ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মুর্শিদা ফেরেন ৩৫ বলে ২ চারে ২৬ রান করে।
এরপর ৬৪ রানে নিগার সুলতানা ১৭ রান করে ও ৮১ রানে শবনম মুস্তারি ৬ রান করে আউট হন। ইনিংসের শেষ বলে ১১৩ রানের মাথায় রিতু মনি ১৭ রানে রান আউট হন। আর রুমানা আহমেদ ২৪ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
বল হাতে থাইল্যান্ডের রোসেনান কানোহ, ফানিতা মায়া ও অন্নিচা কামচম্পু ১টি করে উইকেট নেন।
১১৩ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরু থেকেই ধীর গতিতে রান তুলছিল ইংল্যান্ড। জয়ের জন্য শেষ ৩ ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল ৫১ রান। ধারনা করা হচ্ছিল বড় ব্যবধানেই জিতবে বাংলাদেশ। কিন্তু নাথাকান চানথাম দারুণ ব্যাটিং করে ব্যবধান কমান। তিনি ৫১ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন। ম্যাচসেরাও হন তিনি।
এছাড়া নারুয়েমল ১২, নান্নাপাত ১০ ও সোরননারিন অপরাজিত ১০ রান করেন। বল হাতে বাংলাদেশের সালমা খাতুন ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৩টি ও সানজিদা আক্তার মেঘলা ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ৭ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন।
এর আগে আগে প্রথম সেমিফাইনালে জিম্বাবুয়ে নারী দলকে নাটকীয়ভাবে ৪ রানে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে আয়ারল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল। বাংলাদেশের পাশাপাশি তারাও বিশ্বকাপে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করে।
আগামীকাল রবিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় ফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড।