এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশ সহজ সমীকরণ নিয়ে মাঠে নামছে। যদিও সমীকরণটা প্রায় একই শ্রীলংকার জন্যও। এ ম্যাচে যে দল জিতবে তারাই নিশ্চিত করবে আসরের সুপার ফোর। আর হারলে বিদায়। তবে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকবে কোনো কারণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে। পয়েন্ট টেবিলে নেট রান রেটে আফগানিস্তানের পরেই রয়েছে বাংলাদেশ।
‘বি’ গ্রুপে আফগানিস্তান দুই জয়ে শীর্ষে থেকে সুপার ফোর আগেই নিশ্চিত করেছে। তারা প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকাকে বড় ব্যবধানে হারায়। পরে বাংলাদেশের বিপক্ষেও সহজ জয় তুলে নেয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি গড়াবে। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হবে।
বাংলাদেশ-শ্রীলংকা দুদলের সাম্প্রতিক টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যান অবশ্য খুবই বাজে। লংকানরা নিজেদের শেষ ১৪ ম্যাচের ১০টিতেই হেরেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ১৬ ম্যাচে ১৪টিতে হার দেখেছে। শেষ পাঁচ ম্যাচেও দুদল সামন ৪টি করে ম্যাচ হেরেছে।
এ ম্যাচের আগে দুদলের কথার লড়াই হয়েছে বেশ। আফগানদের বিপক্ষে হারের পর শ্রীলংকান অধিনায়ক দাসুন শানাকা সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলাটা আরেকটু সহজ হবে, বাংলাদেশের সাকিব ও মোস্তাফিজ ছাড়া তেমন কোনও ভালো বোলার নেই।’
কিন্তু এই কথা পছন্দ হয়নি বাংলাদেশ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের। তিনি বলেন, \’কে কেমন সেটা মাঠে দেখা যাবে।\’
এদিকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে দলের ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘আমি তো শ্রীলঙ্কার কোনও বোলারই দেখিনা।’ সুজন মনে করেন, বাংলাদেশের অন্তত বলার মতো দুজন আছে।
সুজনের বক্তব্যের বিপরীতে লংকানদের ফিল্ডিং কোচ পিয়াল বিজেতুঙ্গা ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমি এই মন্তব্য জানতাম না। শুধু পরিসংখ্যান দিয়ে কোয়ালিটি বোলার বিবেচনা করা যায় না। প্রতিটি দলেরই মানসম্পন্ন বোলার আছে, না হলে তারা এখানে থাকতো না। আমি জানি না এটা কে বলেছে, আমি এটা বিশ্বাস করি না।’
পরে সুজনের সেই বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপ রিটুইট করে জয়াবর্ধনে লিখেছেন, ‘শ্রীলঙ্কার বোলারদের মাঠে নিজেদের ’ক্লাস’ দেখানোর সময়। এছাড়া ব্যাটসম্যানদেরও মাঠে নিজেদের জাত চেনানোর এটাই মোক্ষম সময়।’
বাংলাদেশ-শ্রীলংকা টি-টোয়েন্টি মুখোমুখি সাক্ষাতে লংকানরাই এগিয়ে। ১২ ম্যাচের মধ্যে শ্রীলংকা ৮টিতেই জিতেছে। তবে শেষ তিন ম্যাচে বাংলাদেশ দুটিতে জয় পেয়েছে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হারলেও শ্রীলংকা এ ম্যাচে একই একাদশ রাখতে পারে। তবে পরিবর্তন আসতে পারে বাংলাদেশ একাদশে। ওপেনিং সমস্যা দূর করতে সাব্বির রহমান খেলতে পারেন। এছাড়া স্পিন শক্তি বাড়াতে নাসুম আহমেদকেও দলে রাখা হতে পারে।
বাংলাদেশ একাদশ (সম্ভাব্য): মোহাম্মদ নাঈম/সাব্বির রহমান, এনামুল হক, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদী হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান/নাসুম আহমেদ।
শ্রীলংকা একাদশ (সম্ভাব্য): কুসল মেন্ডিস (উইকেটরক্ষক), পাথুম নিসাঙ্কা, চরিথ আসালঙ্কা, ভানুকা রাজাপাকসে, দানুশকা গুনাথিলাকা, দাসুন শানাকা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, চামিকা করুণারত্নে, মহেশ থিকশানা, মাথিশা পাথিরানা, দিলশান মাদুশঙ্কা।