বাংলাদেশ জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। তার আরও একটি পরিচয় আছে, টেস্ট ক্রিকেটে ৩ নম্বর পজিশনে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সেরা ব্যাটার তিনি।
অফ ফর্মে থাকা মুমিনুল হকেরই হাবিবুল বাশারের ঠিক পরের অবস্থানটা। ৩ নম্বরে ৫টি সেঞ্চুরি থাকলেও গত ২ বছর তিনি ৪ নম্বর পজিশনে ব্যাট করতে নামেন। এই তালিকায় জুনায়েদ সিদ্দিকী, ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ আশরাফুল, শাহরিয়ার নাফিসদের নাম থাকলেও নিয়মিত হতে পারেননি কেউই।
মূলত, গত ১৬ বছরে বাংলাদেশের ক্রিকেটে কোনো পারফেক্ট ‘নাম্বার থ্রি’ ব্যাটার পাওয়া যায়নি। মাঝে কিছু সময় মুমিনুল হকের সার্ভিস পাওয়া গেলেও এই পজিশনে গত ১২ ইনিংসে কোনো হাফ সেঞ্চুরি নেই নাজমুল শান্তর। ঘরোয়া ক্রিকেটে ওয়ান ডাউনে বিকল্প অপশন থাকলেও টিম ম্যানেজমেন্ট সেদিকে ভরসা করতে পারছে না।
রাসেল ডোমিঙ্গোর আমলে গত ২ বছরে ২৮ টি ইনিংসে ৩ নম্বরে ব্যাট করা নাজমুল শান্ত সর্বশেষ হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন ১৩ ইনিংস আগে। এমন অবস্থায়, বাংলাদেশের ক্রিকেটে আবারও বড় আকারে ধরা দিচ্ছে নাম্বার থ্রি ক্রাইসিসটা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, দেশে বিকল্প স্পেশালিস্ট নাম্বার থ্রি আছে কি?
চলুন, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ঘরোয়া ক্রিকেটের দিকে নজর দেয়া যাক। সর্বশেষ এনসিএল এর সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ফজলে মাহমুদ রাব্বী ব্যাটিং করেছেন ৩ নম্বর পজিশনে। ৬০ গড়ে ব্যাট করা রাব্বী লিগে করেছেন মোট ৬০৩ রান ।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা অমিত হাসান ও সিলেট ডিভিশনে ব্যাট করেছেন ৩-এ। ৫৯ গড়ে তার মোট রান সংখ্যাটা ছিল ৫৯০। যিনি বিসিএলেও রান করেছিলেন ৬৪ গড়ে ।
এই পরিসংখ্যান দেখে আপনি ভেবে নিতেই পারেন উপযুক্ত বিকল্প থাকতেও তারা সুযোগ কেন পাচ্ছেন না । তাহলে আপনাকে এটাও জানতে হবে এই এনসিএলে ৩ ম্যাচ খেলা নাজমুল শান্তর ব্যাটিং গড়টা ছিল ৬২.৭৫ ।
তার মানে বোঝা-ই যাচ্ছে, সমস্যাটা টিম সিলেকশনের চাইতেও অনেক বেশি সিলেকশনের মানদণ্ডে। অ্যান্টিগার উইকেট যে সুইং বা বাউন্স অফার করেছে এনসিএল বা বিসিএল এর উইকেট তার ধারের কাছের সুইংও দিতে পারে না। আর ব্যাটারদের সিলেট বিভাগ ছাড়া অন্য কারো বিরুদ্ধে পেস বোলিং এর চ্যালেঞ্জও ফেস করতে হয় না। টেস্ট ম্যাচে নাম্বার থ্রি সমস্যার সুদূরপ্রসারী সমাধান খুঁজে বের করা যে এখন সময়ের দাবি।