অ্যান্টিগা টেস্টে ব্যাটিং বিপর্যয় সামাল দিতে না পেরে ৪৫ রানে ছয় উইকেট হারানো পর বাংলাদেশের ইনিংস শেষ পর্যন্ত ১০৩ রানে গুটিয়ে গেছে। দলের এই বিপর্যয়ে দু’জন চেষ্টা করছেন প্রতিরোধ গড়ার। শুরুতে তামিম, মাঝে সাকিব। যাওয়া আসার মিছিলে ছিলেন বাকিরা।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই মাহমুদুল হাসান জয় আউট হন। রোচের বলে তিনি স্লিপে বনারের হাতে ক্যাচ দেন। ৭ টেস্টের ক্যারিয়ারে এর মধ্যেই পাঁচ বার শূন্য রানে আউট। গোল্ডেন ডাক দু’বার।
রোচের পরের ওভারের প্রথম বলেই বোল্ড শান্ত। ৫ বলে শূন্য শান্ত। এ নিয়ে টানা ৫ ইনিংসে দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগে আউট হলেন তিনি। আরেক প্রান্তে তামিম ইকবাল তিনটি বাউন্ডারিতে চাপ সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। তবে আরেকটি ধাক্কা হয়ে আসে মুমিনুলের আউট। এবারের সিলসের বলে শক্ত হাতে ডিফেন্স করে স্লিপে ধরা পড়েন মুমিনুল। অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর প্রথম ইনিংসে রানে ফেরা হলো না তার। দুঃসময়ের চক্রে থাকা মুমিনুল টানা ৮ ইনিংসে আউট হলেন দু’অঙ্ক ছোঁয়ার আগের।
১৯ রান করে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে পাঁচ হাজার টেস্ট রান পূর্ণ করেন তামিম। দলের রানও তখন ১৯। পরে লিটন দাস এসে একটু ভরসা দেন দলকে। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ২৬।
দলীয় ৪১ রানের মাথায় দুই উইকেটের পতন। জোশেপের বলে সিলভার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তামিম ইকবাল। ৪৩ বলে চারটি চারে ২৯ রান করেন তিনি। পরের ওভারে মায়ার্সের বলে আউট লিটন। ৩৩ বলে দুই চারে লিটনের রান ১২।
দলীয় ৪৫ রানে ষষ্ঠ উইকেটের পতন। মায়ার্সের বলে এলবির শিকার নুরুল হাসান সোহান। ২ বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি কিপার ব্যাটার।
এমন অবস্থায় দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দু’জনে অবিচ্ছিন্ন থাকে লাঞ্চ পর্যন্ত। লাঞ্চের পর প্রথম ওভারেই আউট মেহেদী হাসান মিরাজ। ২২ বলে দুই রান করা মিরাজ সিলসের বলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে সিলভার হাতে। ভাঙে ম্যাচের সর্বোচ্চ রানের (৩২) জুটি। সাকিব ছিলেন তখনো অপ্রতিরোধ্য। একপর্যায়ে তিনি তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৮তম ফিফটি। তারপরই ছন্দপতন। ৬৭ বলে সর্বোচ্চ ৫১ রান করে ফেরেন সাকিব। এর আগে ফেরেন মোস্তাফিজ। তিনিও শূন্য। শেষ উইকেট পতন খালেদকে দিয়ে। তিনিও শূন্য রানে ফেরেন। বাংলাদেশের ইনিংসে শূন্য রানের ব্যাটারের সংখ্যা ৬।
বল হাতে সিলস ও জোশেপ নেন তিনটি করে উইকেট। রোচ ও মায়ার্স নেন দু’টি করে উইকেট।