হেড কোচ জেমি সিডন্স নতুন এক ভাবনা প্রকাশ্যে এনেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগে।
হেড কোচ জেমি সিডন্স আলোচনার দুয়ারটা খুলেছেন । বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং হেড কোচ জেমি সিডন্স সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য করেছেন যে, ব্যাটিং অর্ডারের চার নম্বরে খেললে তামিম ভালো করবেন। তিনি দলের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবালকে মিডল অর্ডারে তথা চার নম্বরে ব্যাটিং করাতে চান।
অনেকের কাছে নতুন পরিকল্পনা আশ্চর্য বা হাস্যকর লাগলেও হেড কোচ জেমি সিডন্সের এই ভাবনাটা সুদূরপ্রসারী। প্রোটিয়া কোচ বাংলাদেশ দলে আরেকজন ওপেনার খুঁজে বের করতেই এমন পরিকল্পনা নিতে চাইছেন। তাছাড়াও এ নিয়ে প্রশ্ন শুরু হয় বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের মধ্যে।
তবে তামিম নিজেই সিডন্সের এ ভাবনাকে বাস্তবায়নের আগেই একে ধূলিসাৎ করে দিয়েছেন।
রোববার ঢাকার একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে সেই একই প্রশ্নের সম্মুখীন হন তামিম ইকবাল।
তামিম উত্তরে মিডল অর্ডারে খেলার সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘আপনার কাছে কি মনে হয় আমার চারে ব্যাট করাটা ভালো, নাকি ওপেনিংয়ে? আমার কাছে মনে হয়, প্রশ্নটা যে ব্যক্তি করেছে, তার মাথার মধ্যে কি আছে না আছে, আমার কোনো ধারণা নেই। এমনকি এ ধরনের প্রশ্নকারীকে স্টুপিড বলেছেন তামিম ইকবাল । চারে ব্যাটিং করার কোনো কারণই খুঁজে পাই না। ১৭ বছর ধরে আমি ওপেনিংয়ে ভালোই করছি।’
সাকিব আল হাসানের টেস্ট অধিনায়কত্ব ফিরে পাওয়ার বিষয়ে এরই মধ্যে প্রসঙ্গ পাল্টে প্রশ্ন উঠে ।
আর সবার মতো তামিমও বন্ধু সাকিব আল হাসানের গুনগান গাইলেন। তামিম ইকবাল বলেন, বন্ধু সাকিব আল হাসানের অধিনায়কত্বে দুবার খেলেছি। তার খুব ভালো ক্রিকেটীয় জ্ঞান আছে।’
চারে ব্যাট করা প্রসঙ্গে এর আগেও সাকিবের টেস্ট অধিনায়কত্ব ফিরে পাওয়ার বিষয়ে প্রশ্নের কড়া জবাব দিয়েছিলেন তামিম।
সম্প্রতি হেড কোচ জেমি সিডন্স বলেছিলেন, ‘তামিম চার কিংবা পাঁচে ব্যাট করলে ভালো হয়। তার আগে আরেকজন ওপেনার খুঁজে বের করতে হবে। তামিম চারে নামলে দারুণ হবে। লিটন ছয়ে ঠিক আছে। মুশফিককে ছাড়া অবশ্যই কাজটা আরও কঠিন হবে। তার জায়গায় ইয়াসির আলী খেলবে। নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ অফ্রিকায় সে ভালো করেছে। সে সুযোগ কীভাবে কাজে লাগায় সেটিই দেখার।’
তামিম অবাক হন, হেড কোচ জেমি সিডন্সের কাছ থেকে এমন কথা শোনার পর যারপরনাই ।
মিডল অর্ডারে ব্যাট করার কোনো ইচ্ছাই তার মধ্যে নেই, বাংলাদেশের একটি জাতীয় পত্রিকাকে সাক্ষাৎকারে ওয়ানডে অধিনায়ক জানিয়েছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন দূরতম ভবিষ্যতেও এমন কোনো ভাবনা তার মধ্যে কাজ করছে না।
তামিম আরও জানান, তবে বিষয়টি নিয়ে সিডন্স বা বিসিবির কারো সঙ্গে আলাপ হয়নি।