এবারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডের সঙ্গে তিনটি টি-টোয়েন্টিও খেলবে বাংলাদেশ। তবে এ বছর জানুয়ারিতে ছয় মাস এ সংস্করণ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখার ঘোষণা দিয়েছিলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। সেই ছয় মাস শেষ প্রায়। তো তামিম কি খেলবেন সেই টি-টোয়েন্টি সিরিজে? কিংবা আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কি পাওয়া যাবে এই ওপেনারকে? এর মধ্যেই খুব স্বাভাবিকভাবে আবারও তামিমের টি-টোয়েন্টি ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নটি সামনে এসেছে। তবে বাংলাদেশের ওপেনার সরাসরি কোনো উত্তর দেননি সেই প্রশ্নের, বরাবরের মতো ধোঁয়াশাই রেখে দিলেন।
টেস্ট দলের অনেকেই এরই মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ চলে গেছেন। তামিমসহ বাকিরা এবং ওয়ানডে-টোয়েন্টি দলে থাকা অন্য খেলোয়াড়েরাও কয়েক দিনের মধ্যেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিমান ধরবেন। তাঁর নিজের পরিকল্পনা নিজ মুখে জানানোর আগেই যে অন্য কেউ বলে দিচ্ছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কের টি-টোয়েন্টি ভবিষ্যৎ! তামিম তাই ঠিক করেছেন, নিজে আর কিছু বলবেন না।
দুই বছরের জন্য একটি মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের পণ্যদূত হিসেবে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আজ এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তামিম বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টি নিয়ে যে পরিকল্পনা আমার, সেটা তো আমাকে তো বলার সুযোগই দেওয়া হয় না। হয় আপনারা বলে দেন, না হয় অন্য কেউ বলে দেয়। ওটাই চলতে থাকুক (হাসি)। অবশ্য তাঁর অভিযোগ অমূলকও নয়। খোদ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানও কিছুদিন আগে সময় থাকতে সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিদায় নেওয়া প্রসঙ্গে উদাহরণ টেনে বলেছিলেন, \’তামিম যেমন টি-টোয়েন্টি খেলছে না, রিয়াদও টেস্ট খেলা ছেড়ে দিয়েছে। \’
মাহমুদ উল্লাহর টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এলেও তামিম টি-টোয়েন্টি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা এখনো নিজ মুখে দেননি। দেওয়ার আগেই ক্রিকেট প্রশাসকের মুখে এ রকম কথা শোনার অভিমানেই কিনা তামিম বললেন, \’টি-টোয়েন্টি নিয়ে আমার যে পরিকল্পনা, সেটা বলার সুযোগ আমাকে দেওয়া হয় না। এত দিন ধরে আমি ক্রিকেট খেলি, এটা আমার প্রাপ্য নয়। আমি কী চিন্তা করি না করি, এটা আমার মুখ থেকেই শোনা উচিত। আপনারা কোনো ধারণা দিয়ে দেন নয়তো অন্য কেউ এসে বলে দেয়। যখন বলে দেয় তখন আমার তো কিছু বলার নেই।