ইউরোপ মহাদেশে রাজা যে রিয়াল মাদ্রিদ তা আরও একবার প্রমাণ পেল বিশ্ব। স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটি লিভারপুলকে ১-০ গোলে হারিয়ে ১৪তম উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতল।
ম্যাচ জুড়ে আক্রমণের বন্যা বইয়ে দেওয়া লিভারপুলকে আনচেলত্তির শিষ্যরা এক ঝলকের বুদ্ধিদীপ্ত আঘাতেই পরাস্ত করল। ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র করেন জয়সূচক গোলটি।
সমর্থকদের মাঠের বাইরের ঝামেলায় ৩৮ মিনিট দেরিতে শুরু হয় চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল। প্যারিসের ম্যাচটিতে প্রথমার্ধে লিভারপুলের আক্রমণের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি রিয়াল। তবে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন থিবো কোর্তোয়া।
ম্যাচের ১৬ মিনিটের মাথায় মোহামেদ সালাহর ক্লোজ রেঞ্জ শট বাঁ-দিকে ঝাঁপিয়ে ফেরান রিয়াল গোলরক্ষক। ২১ মিনিটে সাদিও মানে তো গোলই পেয়ে যাচ্ছিলেন প্রায়, এবারও কোর্তোয়ায় বেঁচে যায় রিয়াল। তার হাতে সরানো বল গিয়ে লাগে পোস্টে।
৪২ মিনিটে সতীর্থের বাড়ানো থ্রো বল একদম এলিসনের সামনে পেয়ে গিয়েছিলেন বেনজেমা। দুই তিনবার লিভারপুল গোলরক্ষককে কাটিয়ে শট নেওয়ার জায়গা পাননি, পড়ে যাওয়ার সময় আলতো করে বল ঠেলে দেন ভালভার্দের দিকে। ভালভার্দেও ঠিকমতো শট নিতে পারেননি, বল গড়িয়ে আবার চলে যায় বেনজেমার পায়ে। এবার আর ভুল করেননি ফরাসি ফরোয়ার্ড, জড়িয়ে দেন জালে।
কিন্তু অফসাইডের কারণে গোলটি পায়নি রিয়াল। ‘ভার’-এ সিদ্ধান্তটি নিতে অনেক সময় লেগেছে রেফারির। শেষ পর্যন্ত গোলটি বাতিল করেন তিনি। গোলশূন্য ড্র নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের ধারা ধরে রাখে লিভারপুল। রিয়ালের ত্রাতা ছিলেন সেই কোর্তোয়া। ৫৪ মিনিটে আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে এক হাতে বের করে দেন রিয়াল গোলরক্ষক। এর কিছুক্ষণ পরই খেলার ধারার বিপরীতে গোল তুলে নেয় আনচেলত্তির দল। ৫৮ মিনিটে ভালভার্দের পাস বক্সের মাঝে বেনজেমাকে পার করে খুঁজে পায় ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে। আলতো ছোঁয়ায় সেটি জাল ঠেলে দেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। ১-০ তে এগিয়ে যায় রিয়াল।
গোল শোধে মরিয়া লিভারপুল আক্রমণের পর আক্রমণ করতে থাকে। ৬৪ মিনিটে সালাহর বাঁ পায়ের বুলেট গতির শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ফেরান কোর্তোয়া। ৮২ মিনিটে বল পায়ে নিয়ে গিয়ে কোর্তোয়াকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন মিসরীয় ফরোয়ার্ড। এবারও রক্ষা করেন রিয়াল গোলরক্ষক। সালাহর ডান পায়ের শট চোখের পলকে এক হাতে কোনোমতে বাইরে বের করে দেন কোর্তোয়া। আরও একবার নিশ্চিত বিপদ থেকে বাঁচে রিয়াল।
শেষ পর্যন্ত আর গোলের দেখা পায়নি লিভারপুল। প্রতিশোধও নেওয়া হয়নি তাদের। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের একমাত্র গোলে শিরোপা উৎসবে মাতে রিয়াল।