দিনের শুরুতে বাংলাদেশ বোলিং আক্রমণে তেজ দেখিয়েছিল। অতিথি শ্রীলঙ্কা নাঈম হাসানের ব্রেকথ্রুতে চাপে পড়ে গিয়েছিল। এই অফ স্পিনারের সঙ্গে উইকেট শিকারে তাইজুল ইসলাম ও সাকিব আল হাসান যোগ দিলে শ্রীলঙ্কা ১৮৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে।
কিন্তু কুসল মেন্ডিসের ফিফটির পর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস হাঁকিয়েছেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। দলের সংগ্রহটাও বাড়িয়ে নিয়েছেন দুজনে। আর কোনো উইকেট না পড়লেও রান বেড়েছে সফরকারীদের। ৪ উইকেট হারিয়ে ২৫৮ রান নিয়ে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন শেষ করেছে লঙ্কানরা। ফলে পুরো ৯০ ওভারের খেলা শেষে খানিকটা অস্বস্তি নিয়েই মাঠ ছেড়েছে।
দলীয় স্কোর তখন ২৩। প্রথম আঘাতটা হানেন নাঈম। এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে ফিরিয়ে দেন ওপেনার দিমুথ করুনারত্নেকে। লঙ্কান ক্যাপ্টেন সাজঘরে ফেরেন ব্যক্তিগত মাত্র ৯ রান নিয়ে। দ্বিতীয় উইকেটটিও পান স্পিনার নাঈম। অন্য উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ওশাদা ফার্নান্দোও খুব বেশি দূর আগাতে পারেননি। ৩৬ রানেই নাঈমের বলে উইকেটের পিছনে লিটন দাসের গ্লাভসে ধরা পড়েন। শ্রীলঙ্কার স্কোর তখন ৬৬।
তবে বিপদ কাটিয়ে উঠে কুসল মেন্ডিস ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস জুটি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তারা ২০৯ বলে গড়েন ৯২ রানের পার্টনারশিপ। তাদের জুটি ভাঙে দলীয় ১৫৮ রানে। ১৩১ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ৫৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে তাইজুল ইসলামের বলে নাঈম হাসানের তালুবন্দি হন কুসল মেন্ডিস। পরে স্পিন জাদু দেখান সাকিব আল হাসান। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে ফেরান করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট পেয়েই মাঠে নামা বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।
পঞ্চম উইকেটে দাঁড়িয়ে যান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ও দিনেশ চান্দিমাল। ১৪৮ বলে ৭৫* অপরাজিত এক পার্টনারশিপ গড়ে প্রথম দিন শেষ করেন তারা। ২১৩ বলে ১৪ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ১১৪* রানে অজেয় রয়ে গেছেন ম্যাথুস। ৭৭ বলে ২ ছক্কায় ৩৪* রানে অপরাজিত থেকে তাকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন চান্দিমাল।
বাংলাদেশের হয়ে দুই উইকেট নিয়ে নাঈম হাসান দিয়েছেন ৭১ রান। তাইজুল ইসলাম ৭৩ রানে পেয়েছেন এক উইকেট। আর সাকিব আল হাসান এক উইকেটের বিনিময়ে খরচ করেছেন ২৭ রান।