চেন্নাইয়ের বিপক্ষে গত রোববার রাতে দিল্লি ক্যাপিটালসের সামনে বড় সুযোগই এসেছিল। জিতলেই দলটি শীর্ষ চারে জায়গা করে নিত । তবে মহেন্দ্র সিং ধোনির দলের কাছে ৯১ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে যাওয়ায় তা তো হয়ইনি, উল্টো এখন শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে দলের প্লে অফে খেলা নিয়ে। তবে কোচ রিকি পন্টিং অবশ্য এখনই আশা ছাড়ছেন না। দলের বাকি তিন ম্যাচ; তিনি জানালেন, সেই তিন ম্যাচে জিতলেই শেষ চারে চলে যাবেন মুস্তাফিজুর রহমানরা।
১১ ম্যাচ শেষে ঋষভ পান্তের দলের পয়েন্ট ১০। তবে শেষ ম্যাচে ৯১ রানের বিশাল হার দলের নেট রান রেটে বড় এক ধাক্কাই দিয়েছে। দলের নেট রান রেট অবশ্য এখনো +০.১৫০, যা চারে থাকা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু থেকে বেশ ভালো; বিরাট কোহলির দলের বর্তমান নেট রান রেট -০.১১৫। ফলে পন্টিংয়ের ভাবনার পুরোটা জুড়ে এখন কেবল শেষ তিন ম্যাচে তিনটি জয়, তার একটা চান বড় ব্যবধানে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে পন্টিং বললেন, ‘তিনটি জয় আমাদের প্লে অফে তুলে দেবে, আমরা এমনটাই ভাবতে চাইব। আটটা জয় সেখানে (প্লে অফে) যাওয়ার জন্য যথেষ্ট হতে পারে, একটা বড় জয় চাই যা আমাদের নেট রান রেটকে সাহায্য করবে। কে জানে ফাইনালেও তুলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট হয় কি না!’
‘আমরা এটাই ভাবতে পারি; যা হয়ে গেছে, হয়ে গেছে। আমরা ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে চাই, খারাপ পারফর্ম্যান্সটাকে পেছনে ফেলতে চাই।’
দিল্লির প্লে অফ অনিশ্চয়তায় পড়ে যাওয়ায় অধিনায়ক ঋষভ পান্তের সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তবে পন্টিং জানালেন, অধিনায়কের ওপর ভরসা আছে তার। বললেন, ‘সে মাঠে যা সিদ্ধান্ত নেয়, তাতে আমার পূর্ণ সমর্থন আছে। আমি আগে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক ছিলাম, আমি জানি আপনার ভাবার খুব একটা সময় থাকে না, বিশেষ করে আপনি যখন খুব চাপে থাকেন।’
পন্টিংয়ের অভিমত, বাইরে থেকে সমালোচনা করাটা বেশ সহজ, তবে ভেতরের কাজটা কঠিন। সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের ভাষ্য, ‘বাইরে থেকে বিচার করাটা খুবই সহজ। কিন্তু আমাকে বিশ্বাস করুন, যখন আপনি মাঠে থাকেন, এটা (অধিনায়কত্ব) খুব সহজ কাজ নয়।’