প্রথমার্ধ আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের মধ্য দিয়ে গোল শুন্য। ঘটনাবহুল এই ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ৫ গোল হয়ে গেলো। গতকাল রোববার রাতে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের ১৯ নম্বর দল লেভান্তের মাঠে নাটকীয় ম্যাচে ৩-২ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। এ জয়ের ফলে সেভিয়াকে পেছনে ফেলে আবারও তারা উঠেছে দুই নম্বরে।
গত সপ্তাহে ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের মাঠে ১-১ ড্র করলেও লিগে জয়ের ধারা ধরে রাখল বার্সেলোনা। এ নিয়ে টানা ছয় ম্যাচে জিতল শাভির দল। আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে অপরাজিত রইল টানা ১৫ ম্যাচে (১১ জয় ও ৪ ড্র)।
এই মৌসুমে এর আগে ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদ ও আতলেতিকো মাদ্রিদের মতো শীর্ষ দলের বিপক্ষে ড্র করেছে লেভান্তে, এমনকি আতলেতিকোকে হারিয়ে দিয়েছে মাদ্রিদে গিয়ে। এবার বার্সেলোনার বিপক্ষেও পয়েন্ট পাওয়ার আশা জাগিয়ে শেষ মুহূর্তে হেরে গেল তারা।
প্রথমার্ধে দারুণ খেলা লেভান্তে চতুর্থ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায়। ২০ গজ দূর থেকে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার হোসে কাম্পানার নিচু শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক টের স্টেগেন।
বার্সেলোনা বল দখলে এগিয়ে থাকলেও শুরুতে আক্রমণে তেমন সুবিধা করতে পারছিল না। ২১তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পান ফেররান তরেস। টের স্টেগেনের লম্বা করে বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি, কিন্তু গোলরক্ষক বরাবর শট নেন তরুণ স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। তার একমাত্র গোলেই গত বৃহস্পতিবার আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের মাঠে হার এড়ায় বার্সেলোনা।
২৬তম মিনিটে চমক দেখান লেভান্তের মিডফিল্ডার হোসে লুইস মোরালেস। ড্রিবলিং করে বার্সেলোনার তিন জনকে কাটিয়ে ছয় গজ বক্সের সামনে থেকে শট নেন তিনি, এগিয়ে আসা টের স্টেগেনের হাত ছুঁয়ে পায়ে লেগে বলের গতি কমলেও জালে জড়াতে যাচ্ছিল। গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করেন এরিক গার্সিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটে উসমান দেম্বেলের ক্রসে কাছ থেকে তরেসের জোরাল হেড ঠেকান লেভান্তের গোলরক্ষক। এর পরপরই দানি আলভেস প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার সনকে ডি-বক্সে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিকে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন মোরালেস।
দুই মিনিট পর ডি-বক্সে হেডের সময় গার্সিয়ার হাতে বল লাগলে আবার পেনাল্টি পায় লেভান্তে। এ যাত্রা রজার মার্তির স্পট কিক ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন টের স্টেগেন। ৫৯তম মিনিটে সমতায় ফেরে বার্সেলোনা। ডান দিক থেকে দেম্বেলের দারুণ ক্রসে হেডে বল জালে পাঠান গ্যাবনের ফরোয়ার্ড পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াং। ৬৩তম মিনিটে সফরকারীরা এগিয়ে যায় খানিক আগেই বদলি নামা দুই খেলোয়াড়ের নৈপুণ্যে। গাভির পাস ডি-বক্সে পেয়ে জোরাল শটে ঠিকানা খুঁজে নেন পেদ্রি।
৮২তম মিনিটে ডি-বক্সে বার্সেলোনার ক্লেমোঁ লংলে প্রতিপক্ষের দানি গোমেসকে ফেলে দিলে তৃতীয় পেনাল্টি পায় লেভান্তে। স্কোরলাইন ২-২ করেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার গনসালো মেলেরো। ৮৪তম মিনিটে অবামেয়াংয়ের বদলি নামেন লুক ডি ইয়ং। গত বছর সেভিয়া থেকে ধারে কাম্প নউয়ে আসা এই ডাচ ফরোয়ার্ড যোগ করা সময়ে লেভান্তের জালে বল পাঠিয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসান বার্সেলোনা সমর্থকদের। জর্দি আলবার ক্রসে হেডে গোলটি করেন তিনি।
৩০ ম্যাচে ১৭ জয় ও ৯ ড্রয়ে বার্সেলোনার ৬০ পয়েন্ট। সমান পয়েন্ট নিয়ে তিনে নেমে গেছে সেভিয়া। তাদের সমান ৩১ ম্যাচে ৭২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ।