বাংলাদেশ ফুটবলে প্রবল গোলের খরা। একটা গোলের জন্য হাপিত্যেশ কান পাতলেই শোনা যায়। সে গোলখরা আজ সিলেটে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে তাড়া করে ফিরল বাংলাদেশকে। তবে আজ দুর্ভাগ্যও পথ আগলে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের।
প্রথমার্ধে ক্রসবারে লেগেছে সুমনের শট। এর আগে পরে বেশ কয়েকটা নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট হয়েছে। তাতে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে একগাদা সুযোগ সৃষ্টি করেও জেতা হলো না বাংলাদেশের।
ম্যাচের শুরুতেই বেশ একটা সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ডান প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে উঠে এসেছিলেন রাকিব হোসেন। তার ক্রস একটু এদিক ওদিক হলেই সুমন রেজাকে পেয়ে যাচ্ছিল প্রতিপক্ষ বিপদসীমায়। তবে মঙ্গোলিয়া গোলরক্ষক মুনখ এরদেন এনকতাইভানের দারুণ সেভে তা আর হয়নি।
তবে এমন শুরুর রেশটা ধরে রেখে পরের ২০ মিনিটে বাম প্রান্ত দিয়েই বেশ কিছু আক্রমণে উঠেছে বাংলাদেশ। ১৬ মিনিটে বড় একটা সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন ডিফেন্ডার ইয়াসিন আরাফাত।
রক্ষণ থেকে দারুণ ড্রিবল করে মাঝমাঠে উঠে এসে রক্ষণচেরা এক পাস দেন বক্স বরাবর ডানে থাকা মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে। তবে ইব্রাহিম তা ভালোভাবে আয়ত্বে আনার আগেই তা হারিয়ে বসেন। ফলে এ যাত্রাতেও গোলের দেখা পায়নি বাংলাদেশ।
এরপর বড় সুযোগের জন্য বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৪১ মিনিট পর্যন্ত। মাঝমাঠ থেকে দুর্বল শট নিয়েছিলেন সোহেল রানা, তার শট আটকে দারুণ এক জায়গায় বল পেয়ে যান সুমন রেজা। এক ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে গোলমুখে শট নিয়েছিলেন তিনি, তবে তার পথ এবার আগলে দাঁড়ায় দুর্ভাগ্য। শট গিয়ে লাগে ক্রসবারে। এরপর বিরতির একটু আগে একটা শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় তার। ফলে প্রথমার্ধে আর গোলের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। বাংলাদেশ তাও আক্রমণে উঠে গোলমুখে শট নিয়েছে, মঙ্গোলিয়া পারেনি সেটাও। ফলে ০-০ স্কোরলাইন নিয়ে শেষ হয় প্রথমার্ধ।
বিরতির পরও বাংলাদেশই একচেটিয়া রাজত্ব করেছে প্রতিপক্ষ অর্ধে। ৬১ মিনিটে ইয়াসিনের দূরপাল্লার শট তেমন বিপদে ফেলতে পারেনি মঙ্গোলিয়ান গোলরক্ষককে। এরপর কিছু পর পেনাল্টি আবেদনে সাড়া পায়নি বাংলাদেশ, বক্সের ভেতর ফাউলের শিকার হয়েছিলেন রাকিব।
এর কিছু পর অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে তুলে নেন বাংলাদেশ কোচ। তার বদলে মাঠে আসেন সিলেটের ফুটবলার বিপলু আহমেদ। এসেই বার দুয়েক গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। বাম প্রান্ত থেকে সোহেল রানার পাস বক্সে ফাঁকায় পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে বল ঠিকঠাক আয়ত্বে আনার আগেই তা বিপদমুক্ত করে মঙ্গোলিয়ান রক্ষণ। একই নিয়তি হয়েছে পরের আক্রমণেও।
ইনজুরি সময়ে বাংলাদেশ রক্ষণে ত্রাস ছড়িয়েছে সফরকারীরা। তবে গোলরক্ষক আনিসুর রহমানের কল্যাণে ধারার বিপরীতে গোল হজম করেনি বাংলাদেশ। শেষ মিনিটে বড় একটা সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে রায়হান শটটা লক্ষ্যেই রাখতে পারেননি। তাতে ড্রয়ের হতাশা নিয়ে ম্যাচটা শেষ করে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।