একদিন আগেই স্বাগতিক দল সিলেট খুলনার বিপক্ষে লড়াই করে হেরেছিল। আজও ২০০ রানের বড় টার্গেট তাড়া করতে নেমে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা দলটি লড়ল বুক চিতিয়ে। তবে শেষমেশ অধরাই রইল জয়। আগেই প্লে-অফ নিশ্চিত করা সাকিবের বরিশালের বিপক্ষে হারতে হলো মাত্র ১২ রানে। আর এর মধ্য দিয়ে চলতি বিপিএল থেকে কার্যত দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই প্রথম দল হিসেবে ছিটকে গেছে সিলেট সানরাইজার্স।
বরিশালের বিপক্ষে নামার আগে ৭ ম্যাচে ১ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতেই ছিল সিলেট। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে তাদের দরকার ছিল বাকি থাকা তিনটি ম্যাচেই জয় নিশ্চিত করা। তবে তাতেও যে প্লে-অফের টিকিট নিশ্চিত হয়ে যেত তেমনটা নয়, তবে কাগজে-কলমে আশা থাকতো। তবে দলের টানা ব্যর্থতায় সব শেষ। তিনবার অধিনায়কত্বে বদল এনেও ভাগ্য বদলালো দলটির। ৮ ম্যাচ খেলে তাদের জয় মাত্র একটিতে।
অন্যদিকে, টানা জয়ের ছন্দে রয়েছে সাকিবের ফরচুন বরিশাল। এরই মধ্যে তাদের প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে গেছে। এবার তাদের লক্ষ্য গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া। তবে সে দৌড়ে ভালোভাবেই এগিয়ে রয়েছে তারা। দলটি ৯ ম্যাচে ৬ জয় নিয়ে টেবিলের চূঁড়ায় রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বরিশালের দেওয়া ২০০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সিলেটের ইনিংস থেমে গেছে ৬ উইকেটে ১৮৬ রানে। দলকে জয়ের আশা দেখিয়েছিলেন কলিন ইনগ্রাম। দক্ষিণ আফ্রিকার এই মারকুটে ব্যাটার ১৬ চার এক ছয়ে ৪৯ বলে ৯০ রান করেছেন। তবে নাজমুল হাসান শান্তর শিকার হয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে। এছাড়া ব্যাট হাতে ধারাবাহিক ছিলেন সিলেটের প্রথম অধিনায়ক মোসাদ্দেক সৈকত। দলের হয়ে ৩৪ রান তথা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ তার।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে মুনিম শাহরিয়ার, গেইল মাঝে সাকিব আর শেষে ব্রাভো ঝড়ে সিলেটের বিপক্ষে মাত্র ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৯৯ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে ফরচুন বরিশাল। অর্থাৎ সিলেটকে জিততে হলে করতে হবে ২০০ রান।
টুর্নামেন্টে টিকে থাকার ম্যাচে খেলতে নেমে টস জিতে সাকিবের বরিশালকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল রবি বোপারার সিলেট। কিন্তু বরিশালের ব্যাটারদের অল্পতে আটকাতে ব্যর্থ হয়েছে নাজমুল অপু-সোহাগ গাজীরা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ঝড় তুলেছিলেন বরিশাল ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার। একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে তার চার-ছক্কার বাহারি শট অন্য প্রান্ত থেকে দেখছিলেন ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব টি-টোয়েন্টির রাজা ক্রিস গেইল। মুনিমের ব্যাটিং দেখে হয়ত নিজের খুঁজে ফেরা ইউনিভার্স বস রূপকেই স্মরণ করছিলেন গেইল। ২৮ বলে ৫১ রানের দানবীয় ইনিংস খেলে সোহাগ গাজীর বলে কাটা পড়েন তরুণতুর্কি মুনিম।
তারপর ওয়ান ডাউনে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ হন নুরুল হাসান সোহান। মাত্র ২ রান করে উইকেটরক্ষক এ ব্যাটার ফিরলে মঞ্চে আবির্ভূত হন দল কাপ্তান সাকিব আল হাসান। এসে ছোটখাটো এক ঝড় তোলেন তিনি। চার ছয় ও দুই চারে ১৯ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে আলাউদ্দিন বাবুর বলে কাটা পড়েন তিনি।
মুনিম-সাকিবরা হাত খুলে খেললেও ওপেনিংয়ে নেমে কেমন গুটিয়ে ছিলেন গেইল। সিঙ্গেল কিংবা বড়জোর দুয়েকটা চার। এভাবেই এগোচ্ছিল তার ইনিংস। তবে শেষ পর্যন্ত চলতি বিপিএলে প্রথম ফিফটি তুলে নিলেন তিনিও। ৪৫ বলে ৫২ করে শেষপর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন গেইল।
শেষদিকে ব্যাট করতে নেমে তাণ্ডব চালান ডোয়াইন ব্রাভো। মাত্র ১৩ বল খেলার সুযোগ পেয়ে চার ছক্কা ও এক চারে ৩৪ রান তুলে নিয়েছেন তিনি।