টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শেষ ওভারে ১৮ রান অসম্ভব কিছু না। ২০১৬ সালে ভারতের মাটিতে ক্যারিবীয় ব্যাটার কার্লোস ব্র্যাথওয়েট ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওভারে টানা চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে ট্রফি এনে দিয়েছিলেন। এবার তাদেরই বিপক্ষে ব্যাট হাতে ইংলিশরা। বিশ্বকাপের মঞ্চ না হলেও সিরিজ জেতার জন্য জয়টা গুরুত্বপূর্ণ। তবে এবার ক্যারিবীয়দের বল হাতেও দাপট। জেসন হোল্ডার চাপে পড়ার বদলে উল্টো ধস নামিয়ে দেন ইংলিশ শিবিরে।
একে একে ক্রিস জর্ডান, স্যাম বিলিংস, আদিল রাশিদ ও সাকিব মাহমুদকে ফিরিয়ে ইতিহাসে হোল্ডার। ডাবল হ্যাটট্রিকের অর্জনে জায়গা করে নেন রশিদ খান, লাসিথ মালিঙ্গা ও কুরটিস ক্যাম্ফারের পাশে। দলকে এনে দেন ১৭ রানের জয়, সাথে সিরিজও। ঘরের মাঠ কিংস্টন ওভালে যেন দুহাত ভরে দিলো হোল্ডারকে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম বোলার হিসেবে ডাবল হ্যাটট্রিকের গৌরব অর্জন করেন এই পেসার। সঙ্গে ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের কীর্তি গড়লেন তিনি। হোল্ডারের এমন অর্জনের দিনে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচটি ১৭ রানে হারে টি-টোয়েন্টির রাজা ইংলিশরা।
এর আগে শুরুতেই ১৮০ রানের জবাব দিতে নেমে হোঁচট খায় ইংল্যান্ড। দুই ওপেনার জেসন রয় ও টম বেন্টন ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও জেমস ভিন্স খেলেন ৩৫ বলে ৫৫ রানের ইনিংস। আগের ম্যাচে অলরাউন্ডিং নৈপুণ্যে দলকে জয় এনে দেওয়া মঈন আলীও ক্রিজে টিকতে পারেননি। তবে আশার আলো হয়ে লড়াই করে গেছেন স্যাম বিলিংস। কিন্তু শেষ দিকে তিনিও হোল্ডারের শিকার হলে ভঙ্গ হয় ইংলিশদের জয়ের স্বপ্ন। ২৮ বল মোকাবিলা করে তার ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান। ইনিংসের শেষ ওভারে ১ বল হাতে থাকতেই হোল্ডারের ডাবল হ্যাটট্রিকে গুটিয়ে যায় সফরকারী ইংল্যান্ড। ১৬২ রানে অলআউট হয় তারা। এতে উইন্ডিজ ১৭ রানের ব্যবধানে ম্যাচ জেতে। হোল্ডার ২ ওভার ৫ বল করে ২৭ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া আকিল হোসেন ৩০ রানে ৪ উইকেট তুলে নেন।
এর আগে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে উইন্ডিজ। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৯ রান সংগ্রহ করে। ব্রেন্ডন কিং ৩৪, কাইল মায়ের্স ৩১, নিকোলাস পুরান ২১, কায়রন পোলার্ড অপরাজিত ৪১ ও রোভম্যান পাওয়েল অপরাজিত ৩৫ রান করেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে আদিল রশিদ ও লিয়াম লিভিংস্টোন দুটি করে উইকেট তুলে নেন।