প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে একরকম চাপের মধ্যেই ব্যাটিং করছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। উইল ইয়াং ও রস টেলরের ব্যাটে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে ফিরে আসার মতো ক্ষেত্র প্রস্তুত করার কাজ যখন করছে স্বাগতিকরা তখন এবাদত হোসেনের গতির তোপে কেঁপে উঠলো তাদের পরিকল্পনা।
দুই ওভারের মাঝে উইল ইয়াং, হেনরি নিকোলস ও টম ব্লানডেলকে ফিরিয়ে দিয়ে নিউজিল্যান্ডকে আরও পেছনে ঠেলে দিয়েছেন বাংলাদেশের এই পেসার।
দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে টম ল্যাথাম ও ডেভন কনওয়েকে দ্রুতই সাজঘরে ফিরিয়ে দেয় বাংলাদেশ। তারপর রস টেলর ও ওপেনার উইল ইয়াংয়ের জুটিতে লিড নেয় কিউইরা।
কিন্তু এবাদত বোলিংয়ে এসে একই ওভারে উইল ইয়াং ও হেনরি নিকোলসকে সরাসরি বোল্ড করলে কিউইদের ম্যাচ বাঁচানোর পরিকল্পনায় লাগে বিশাল ধাক্কা। এরপরের ওভারে টম ব্লানডেলকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন এই পেসার। ডানহাতি এই ফাস্ট বোলারের দারুণ পেসের সাথে উইকেট টেকিং লাইন-লেংথেই বিপদে পড়েছে কিউইরা ব্যাটাররা।
দিন শেষে নিউজিল্যান্ড থেমেছে ১৪৭ রান করে। উইকেট হারিয়েছে ৫টি। লিড নিয়েছে ১৭ রানের। বাংলাদেশের হয়ে এবাদত নিয়েছেন ৪ উইকেট। ১টি নিয়েছেন তাসকিন।
চতুর্থ দিন সকালে ব্যাট করতে নামেন ইয়াসির আলি রাব্বি ও মেহেদী হাসান মিরাজ। হাফ সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৩ রান আগে টিম সাউদির শিকার হন মিরাজ। টম ব্লান্ডেলের তালুবন্দী হওয়ার আগে মিরাজ করেন ৪৭ রান। তিনি খেলেন ৮৮টি বল। মিরাজের ইনিংসে ছিল ৮টি চার। ৪৪৫ রানে ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এতে সপ্তম উইকেট জুটিতে ইয়াসির-মিরাজ ৭৫ রানে পার্টনারশিপ ভাঙে। পরে ইয়াসির ২৬ রান করে আউট হলে তাসকিন আহমেদ (৫), শরিফুল ইসলামও (৭) দ্রুত বিদায় নেন।
ব্ল্যাকক্যাপসদের পক্ষে ট্রেন্ট বোল্ট চারটি, নেইল ওয়াগনার তিনটি, সাউদি দুইটি ও জেমিসন একটি করে উইকেট নেন।