শুরুটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হয়েছিলো। বাছাইপর্বে স্কটল্যান্ডের কাছে হারের পর ক্রিকেটে নতুন মুখ ওমান ও পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। যদিও বিশ্বকাপ মিশনে যাওয়ার আগে বিসিবির কর্মকর্তারা স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন টাইগাররা সেমিফাইনাল খেলবে।
বাছাই পর্ব থেকে বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার সুযোগ পাওয়ার পর বাংলাদেশ শিবির কেমন যেন অগোছালো হয়ে যায়। নানা প্রশ্ন উঠে দল ও কোচিং স্টাফদের নিয়ে। বিসিবি কর্মকর্তারাও এমন অগোছালো দল নিয়ে কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দেন। কিন্তু কই আর ভালো হলো?
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে থাকা ৬ জনকে পরিবর্তন করে ঘরের মাঠে একগাদা নতুন মুখ নিয়ে বিসিবি তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টির দল ঘোষণা করে। যদিও কর্তা ব্যক্তিরা নতুনদের দলে নেওয়া বা বেশ কয়েকজন সিনিয়রদের বাদ দেওয়ার কোনো কারণ ব্যাখ্যা করেননি।
বিশ্বকাপে ধরাশায়ীর পর বাংলাদেশ ঘরের মাঠেও পাকিস্তানের কাছে ধবলধোলাই হলো। যদিও সিরিজ প্রথম দুই ম্যাচ হেরেই হাত ছাড়া করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।
নিয়মরক্ষার শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। এদিন দলে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়। তবে মূল একাদশে রাখা হয়নি শেষ ম্যাচের আগের দিন দলে ডাক পাওয়া পারভেজ হোসেন ইমন ও কামরুল ইসলাম রাব্বীকে।
আগে ব্যাট করা বাংলাদেশ ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিলেও শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২৪ রান। দলের পক্ষে ৫০ বলে ৪৭ রান আসে নাঈম শেখের ব্যাট থেকে। যেখানে ছিলো দুটি চার ও দুটি ওভার বাউন্ডারির মার।
তাছাড়া শামীম হোসেন ২২ ও আফিফ হোসেনের ২০ রান ছাড়া বলার মতো কোনো রান করতে পারেননি কোনো ব্যাটসম্যান।
জয়ের জন্য ১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সফরকারীদের শুরুটা হয় ধীরগতির ব্যাটিং দিয়ে। দলীয় ৩২ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৯ রান করে আমিনুলের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। পরে হায়দার আলীকে সঙ্গে নিয়ে জয়ের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে সফরকারীরা। তবে ১৫ দশমিক ১ ওভারে দলীয় ৮৩ রানের মাথায় শহিদুল ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ৪৩ বলে ৪০ রান করা মোহাম্মদ রিজওয়ান।
তখনও পাকিস্তানকে জিততে হলে দরকার ২৮ বলে ৪১ রান। এমন সমীকরণেও ঘুরে দাঁড়াতে পারলো না বাংলাদেশ। তবে খেলা পর্যন্ত নাটকীয়তায় রূপ নেয়। ৬ বলে পাকিস্তানের দরকার হয় ৮ রান। বল হাতে নেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রথম বল ডট, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে উইকেট। চতুর্থ বলে ছক্কা, পঞ্চম বলে আবারো উইকেট। জয়ের জন্য শেষ বলে দরকার দুই রান। আর একরান হলে সুপারওভার। কিন্তু ব্যাটসম্যান মোহাম্মাদ নেওয়াজ সব সমীকরণ শেষ করে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৫ উইকেট হাতে রেখেই শেষ ম্যাচেও জয় তুলে নিলো পাকিস্তানিরা।
বাংলাদেশের পক্ষে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এক ওভার বল করে ১০ রান দিয়ে নেন তিন উইকেট। আর শহিদুল ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম নেন একটি করে উইকেট।