টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরপরই ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ও দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলার আতিথেয়তা দেয় বাংলাদেশ। তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচে হেরে সিরিজ হারার স্বাদ নিলো খেই হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশ।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে সফরকারিদের কাছে প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেটে হারার পর দ্বিতীয় ম্যাচেও ৮ উইকেটে হারে স্বাগতিকরা। এই হারের ফলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল সিরিজ হারালো।
জয়ের জন্য ১০৯ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে দলীয় তৃতীয় ওভারে পাকিস্তান দলপতি বাবর আজম একরানে ফিরে গেলেও মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ফখর জামানের নির্ভরযোগ্য ব্যাটিংয়ে জয়ের দ্বারপ্রান্তে চলে যায় সফরকারিরা। তবে ১৬তম ওভারে আমিনুল ইসলামের বলে সাইফ হাসানের হাতে ক্যাচ বন্দি হয়ে মাঠ ছাড়লে হায়দার আলীকে সঙ্গে নিয়ে জয় তুলে নেয় বাবর আজমের দল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন ফখর জামান। রিজওয়ানের ব্যাট থেকে আসে ৩৯ রান। যেখানে ৪টি চারের মার ছিলো।
এর আগে শনিবার (২০ নভেম্বর) দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে আগের ম্যাচের মতোই ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের পর ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন নিয়ে আজ দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামলে তাদের সেই কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তেমন কোনো রান তুলতে পারলো না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১০৮ রানেই থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। তবে শুরুতেই একের পর এক উইকেট হারিয়ে চিরচেনা রূপেই ফিরে যায় টাইগার বাহিনী।
টপ অর্ডারের ব্যাটাররা প্রতিদিনের মতো আজও রান করা ভুলেই গেছেন। ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে প্রথম ম্যাচে একরান করা সাইফ হাসান আজও শূন্য রানেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। তার কিছুক্ষণ পরই নাঈম শেখও দুই রানে ফিরে গেলে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ শিবির।
তাদের বিদায়ের পর নাজমুল হোসেন শান্ত ও আফিফ হোসেন দলের হাল ধরার চেষ্টা করলেও আফিফ হোসেন বাজে শটের কারণে আউট হয়ে মাঠে ছাড়েন। ৩৪ বলে সর্বোচ্চ ৪০ রানের ইনিংস খেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
পাকিস্তানের পক্ষে সাদাব খান ও শাহীন শাহ আফ্রিদী দুটি করে এবং মোহাম্মদ ওয়াসিম, হারিস রউফ ও মোহাম্মদ নেওয়াজ একটি করে উইকেট পান।