ফুটবল বিশ্বের দুই জায়ান্ট দেশ ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা মাঠে নেমেছিল ব্যাট-প্যাড পরে। ঠিক পড়েছেন, ক্রিকেট ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল তারা। আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আঞ্চলিক বাছাই পর্বের ম্যাচে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জয় তুলে মাঠ ছেড়েছে ব্রাজিল।
গত মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) মেক্সিকো সিটিতে বাংলাদেশ সময় রাত নয়টায় শুরু হয় ম্যাচটি। নাউকালপানের রিফর্মা অ্যাথলেটিক ক্লাব মাঠে টস জিতে আর্জেন্টিনাকে ব্যাট করতে পাঠায় ব্রাজিল।
ব্যাট হাতে মাঠে নেমে ১১.২ ওভারে আর্জেন্টাইন নারীরা মাত্র ১২ রানে গুটিয়ে যায়। আর্জেন্টাইন নারী ব্যাটারদের মধ্যে ভেরোনিকা ভাসকুয়েজ ২রান, মারিয়া কাস্টিনিরাস ১রান, মারিয়ানা মার্টিনেজ ১রান, ক্যাটালিনা গ্রেলোনি ২রান, তামারা বাসিল ২রান ও কনস্টানজা সোসা করেন ১রান। অতিরিক্ত হিসাবে আসে ৩ রান। ব্রাজিলিয়ান বোলার রেনাটা ডি সুসা ২ ওভার বল করে ১ রান খরচায় নেন ২টি উইকেট, লারা ময়েস ২ ওভার বল করে ৩ রান খরচায় নেন ২টি উইকেট। অন্যদিকে ব্রাজিলিয়ান নারী ব্যাটার লরা আগাথা ৪ রানে ও লরা কার্ডোসো ২ রানে অপরাজিত থেকে ৩.৩ ওভারেই ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। অতিরিক্ত হিসাবে আসে ৭ রান। আর্জেন্টাইন বোলার তামারা বাসিল ১.৩ ওভার বল করে ৬ রান খরচায় নেন ২টি উইকেট। প্লেয়ার অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন ব্রাজিলিয়ান বোলার রেনাটা ডি সুসা।
সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের সবচেয়ে কম দলীয় সংগ্রহের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে এখন আর্জেন্টিনার নারীরা। ১২.১ ওভারে ৬ রানে তুলে অল আউট হয়ে তালিকার সবার উপরে রয়েছে মালদ্বীপ। ৯ ওভারে ৬ রানে গুটিয়ে দ্বিতীয় স্থানে মালি। ১১,৩ ওভারে ৮ রানে অল আউট হয়ে তৃতীয়ও স্থানে রয়েছে মালদ্বীপের মেয়েরা। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান মালির দখলে। ১০ ও ১১ রানে অল আউট হয়েছিল তারা। যথাক্রমে ১১.১ ও ১৫.৪ ওভারে এই রান তুলে তারা।
২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। দশ দলের এই টুর্নামেন্টে স্বাগতিক হিসেবে আগেই জায়গা করে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত র্যাকিংয়ের সেরা সাত দল চলে যাবে মূল পর্বে।
২০২২ সালে বাছাই পর্ব খেলতে হবে বাকি দুই দলকে। বিশ্বের পাঁচটি অঞ্চলের ৩৭ দল মূল বাছাই পর্ব খেলতে লড়াই করেছে। মূল বাছাই পর্বের ম্যাচগুলো বসবে ২০২২ সালে।
এদিকে আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইয়ে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ছাড়াও ম্যাক্সিকোতে লড়ছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। সেরা একটি দল খেলবে মূল বাছাই পর্বে।
আগেই ইউরোপ অঞ্চল থেকে স্কটল্যান্ড উঠে এসেছে। মূল বাছাই পর্ব নিশ্চিত করেছে আফ্রিকা থেকে আসা জিম্বাবুয়েও। অন্যদিকে কোভিডের কারণে পূর্ব এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের খেলা বাতিল হয়েছে। সেই অঞ্চলে র্যাকিংয়ে এগিয়ে থাকা দল খেলবে বলে জানিয়েছে আইসিসি।
এশিয়া অঞ্চলের খেলা বাকি রয়েছে এখনও। যেখানে লড়বে নেপাল, ভুটান, মায়ানমার, চীন, হংকং, মালয়েশিয়া, কুয়েত ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। ম্যাচগুলো বসবে মালয়েশিয়ায়।