সংশয় ছিল আদৌ প্রথম একাদশে থাকবেন কি না, তা নিয়েই। আর সেই তিনিই আইপিএলের বাঁচা-মরার ম্যাচে (এলিমিনেটর) রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে এনে দিলেন পরম আরাধ্য জয়। তিনি আর কেউ নন, বাংলাদেশের জান, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
এলিমিনেটরের ম্যাচে ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে গতকাল সোমবার (১১ অক্টোবর) সাকিব যখন নেমেছিলেন, তখন কলকাতার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। হাতে ছিল ১৪ বল এবং চার উইকেট। সহজ লক্ষ্য হলেও সিরাজের বিধ্বংসী বোলিংয়ে জোড়া উইকেট হারিয়ে কলকাতা রীতিমতো কাঁপছিল। সেখান থেকেই সাকিব দলকে টেনে তোলেন। ১৯তম ওভারের শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক নিজের কাছেই রাখেন তিনি।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে দরকার ছিল ৭ রান। ডেনিয়েল ক্রিশ্চিয়ানের প্রথম বলেই সাকিব দারুণ এক শট চার হাঁকান। কলকাতার জন্যও কাজটা সহজ করে দেন। বাকি তিন রানের দুটি নেন সাকিব। স্ট্রাইক রোটেট করতে কেবল এক রান নিয়েছেন মরগ্যান। ৪র্থ বলে সিঙ্গেল নিয়ে ম্যাচ জেতান বাংলাদেশি অলরাউন্ডার। অর্থাৎ সাকিবের ব্যাট ছুঁয়েই এলো কলকাতার জয়। শেষপর্যন্ত ৬ বলে ৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। কিন্তু সাকিবের এই ৯ রানের ছোট্ট ইনিংসই মহামূল্যবান হয়ে ওঠে এদিন।
শুধু ব্যাট হাতে নয়, বল হাতেও সাকিব ভালো পারফরম্যান্স করেন। শুরুতেই বিরাট কোহলিদের বিপক্ষে বোলিং শুরু করেন। শেষপর্যন্ত উইকেট না পেলেও চার ওভারে মাত্র ২৪ রান দেন। তার বোলিংয়ের প্রশংসা করেন কোহলিও। ম্যাচশেষে তিনি বলেন, শুধু সুনীল নারিন নন, বরুণ চক্রবর্তী এবং সাকিবও দারুণ বল করেছেন।
এদিকে ম্যাচ জেতানো এমন পারফরম্যান্সের পর একাংশের বক্তব্য, সাকিব আবারও বুঝিয়ে দিলেন যে কেন তিনি যে কোনো দলের কাছে অপরিহার্য সম্পদ। অথচ তাকে প্রথম একাদশে নেওয়া হচ্ছিল না।
অনবদ্য এমন ফিনিশিংয়ে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন সাকিব আল হাসান। কলকাতার ফেসবুক পেজেও সাকিবকে মি. ফিনিশার বলে প্রশংসা করেছে। ম্যাচ জয়ের পরই সাকিবের থাম্বসআপে হাস্যজ্জ্বল ছবি ও তার ব্যাট-বল, প্যাড এবং হেলমেটের ছবি আপলোড করেছে কেকেআর। ক্যাপশনে লিখেছে, আমাদের ফিনিশার ও তার অস্ত্রগুলো।
অনেকেই একমত যে, যদিও ৪ উইকেট তুলে নিয়ে কোহলিদের শিবিরে ধস নামিয়েছিলেন সুনীল নারিন, এছাড়া ব্যাটিংয়েও ঝড় তুলেছেন তিনি। তবে শেষের দিকে মি. অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের বুদ্ধিদীপ্ত ও সাহসী ব্যাটিংয়েই ম্যাচ জিতেছে কলকাতা।