অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হোম সিরিজ করোনাকালে ভিন্ন রকম অভিজ্ঞতার ক্ষেত্র হয়েই ধরা দিয়েছিল। কঠোর নিরাপত্তা, নিচ্ছিদ্র জৈব সুরক্ষা বলয়ের অধীনে দ্রুততম সময়ে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলে ফিরে গেছে অস্ট্রেলিয়া। নানামুখী শর্তের বেড়াজালে আয়োজন করা সিরিজটা আয়োজক বিসিবিকেও সমৃদ্ধ করেছে। সমান সংখ্যক টি-২০ ম্যাচ খেলতে আগামী ২৪ আগস্ট বাংলাদেশে আসছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল।
তবে কিউইরা প্রতিবেশী অস্ট্রেলিয়ার মতো সুযোগ-সুবিধা পাবে না। জৈব সুরক্ষা বলয়, দর্শকহীন মাঠ বহাল থাকবে। তবে হোটেলসহ কিছু বিষয়ে দুই সিরিজের মাঝে ভিন্নতা থাকবে। নিশ্চিতভাবেই অস্ট্রেলিয়ার মতো আতিথ্য পাচ্ছে না নিউজিল্যান্ড। বুধবার (১১ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
ওয়েস্টইন্ডিজ থেকে অস্ট্রেলিয়া দল ঢাকায় এসেছিল চার্টার্ড ফ্লাইটে। স্বদেশে ফিরে গেছেও তারা চার্টার্ড ফ্লাইটে। তবে নিউজিল্যান্ড দল বাংলাদেশে আসবে বাণিজ্যিক ফ্লাইটে। ঢাকা থেকে আবার পাকিস্তানে যাবে দলটি। টাইগারদের বিরুদ্ধে সিরিজ শুরুর আগে বিকেএসপিতে একটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে টম ল্যাথামের দল। তাই অস্ট্রেলিয়ার মতো কঠিন দাবি নিয়ে আসছে না কিউইরা।
অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড- দুই হোম সিরিজের মাঝে কি ভিন্নতা থাকবে জানতে চাইলে বিসিবির প্রধান নির্বাহী বলেছেন, ‘একটা আলাদা বিষয় তো থাকবেই। যেহেতু অস্ট্রেলিয়া চার্টার্ড ফ্লাইটে এসেছিল, তারা কমার্শিয়াল ফ্লাইট বা রেগুলার ফ্লাইট ব্যবহার করেনি। এ জন্যই তারা চেয়েছিল যেন ন্যূনতম মানুষের সংস্পর্শে থেকে বিমানবন্দর থেকে হোটেলে আসতে। যেহেতু নিউজিল্যান্ড কমার্শিয়াল ফ্লাইটে আসছে তাদের জন্য বিষয়টা এরকম প্রযোজ্য হবে না। এরপরও আমাদের চেষ্টা থাকবে যতটা সম্ভব কম পাবলিক কন্টাক্টের মাধ্যমে হোটেলে নিয়ে আসা যায়।’
সিরিজে নিউজিল্যান্ডের চাহিদা সম্পর্কে নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেছেন, ‘যেহেতু ব্যাক টু ব্যাক সিরিজ হচ্ছে সেহেতু তারাতো চাইবেই অস্ট্রেলিয়া যেমন সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে তাদেরকেও যেন দেওয়া হয়। আমাদেরও চেষ্টা থাকবে যতটুকু সম্ভব বিষয়টা নিশ্চিত করা যায়। কারণ স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ইস্যুটা কিন্তু শুধু অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড তথা বিদেশি দলের জন্য না, আমাদের খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার বিষয়ও আছে।’
মাঠের ক্রিকেটে সময়টা ভালো কাটেনি অস্ট্রেলিয়ার। ৪-১ এ সিরিজ হারলেও বিসিবির আতিথ্যে সন্তুষ্ট হয়ে ফিরে গেছে অজিরা। বিসিবির প্রধান নির্বাহী বলেছেন, ‘অবশ্যই, ওরা যথেষ্ট সন্তোষ প্রকাশ করেছে। আমার মনে হয় তারা যা পেয়েছে তা প্রত্যাশার বেশি ছিল। তারা এতটা আশা করেনি।’