আইসিসি টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ে শীর্ষ স্থান ফিরে পাওয়া ও বোলার র্যাংকিংয়ে ১২তম স্থান ওঠে আসার পর পরই সাকিব আল হাসান জুলাই মাসের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন। দ্বিতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে সাকিব জিতলেন এই পুরস্কার।
বাংলাদেশের সাকিব, অস্ট্রেলিয়ার মিচেল মার্শ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইডেন ওয়ালশ জুলাই মাসের সেরা খেলোয়াড়ের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। বাকি দুইজনকে ছাপিয়ে এই পুরস্কার ছিনিয়ে নিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেট আইকন সাকিব। জুলাই মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১টি টেস্ট, ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলায় এই পুরস্কার জেতেন তিনি।
সাকিব জুলাই মাসে ৭ ম্যাচে বল হাতে শিকার করেন ১৬টি উইকেট। আর ব্যাট থেকে আসে ১৮৫ রান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দল যখন বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল তখন সাকিব ব্যাট হাতে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে যান এবং দলের জয় নিশ্চিত করেন। স্নায়ুচাপ সামলে ৯৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি।
মাসের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হওয়ার অনুভূতি জানাতে সাকিব বলেন, ‘আইসিসির জুলাই মাসের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হওয়া খুব সম্মানের। এই মাসে অনেকেই চমৎকার পারফর্ম করেছিলেন এবং সবার মধ্যে থেকে আমি এই পুরস্কারটি পাওয়ায় এটি আমার জন্য বিশেষ পুরস্কার।’
‘যখন আমি দলের জয়ে ভূমিকা রাখতে পারি তখনই আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হই এবং সন্তুষ্টি পাই। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশের জয়ে ভূমিকা রাখতে পেরে আমি খুবই খুশি।’
জিম্বাবুয়ে সিরিজের পরপরই দেশের মাটিতে বিশ্বসেরা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও সিরিজে দুর্দান্ত ছিলেন সাকিব। ব্যাটে-বলে দলের জয়ে ভূমিকা রেখে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এই সিরিজ শেষেই আইসিসি অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়েও শীর্ষে উঠেছেন তিনি।
সাকিবের আগে মে মাসে এই পুরস্কার জিতেছিলেন মুশফিকুর রহিম। প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।