সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৬০ রানের বিপুল ব্যবধানে জয় পেয়েছে। টাইগারদের দেওয়া ১২৩ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে অজিরা মাত্র ৬২ রানেই অলআউট হয়ে যায়। যা টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে তাদের সর্বনিম্ন স্কোর। আর এ জয়ের মধ্য দিয়ে সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জিতে নিলো লাল-সবুজ বাহিনী।
এদিন, দারুণভাবে খেলায় ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। মাত্র ৯ রান দিয়ে নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ ৪টি উইকেট। বোলিংয়ের নির্ধারিত কোটাও তিনি পূরণ করেননি। ৩.৪ ওভারের মধ্যে একটি মেডেনও দিয়েছেন। এটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তার দ্বিতীয় ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।
এ ছাড়া অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন সিরিজে প্রথমবারের মতো একাদশে সুযোগ পেয়েই নিজের জাত চিনিয়েছেন। মাত্র ৩ ওভার বোলিং করে ১২ রান দিয়েই নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ ৩টি উইকেট। দারুণ বোলিং করেছেন নাসুম আহমেদ ও মেহেদী হাসানও। এর মধ্যে নাসুম নিয়েছেন অজিদের প্রথম দুটি উইকেট। তবে উইকেট না পেলেও নিয়ন্ত্রিত ছিলেন মেহেদী। অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও নেন একটি উইকেট।
অজি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২২ রান করেন অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। এছাড়া ১৭ রান করেন বেন ম্যাকডারমট। বাকিদের মধ্যে আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। সবাই আসা-যাওয়ার মিছিলে থেকেছেন।
এর আগে টস জিতে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১২২ রান সংগ্রহ করে। ওপেনিংয়ে নামেন মোহাম্মদ নাইম শেখ ও মেহেদী হাসান। দু\’জনে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন। প্রথম চার ওভারেই দলীয় রান ৪০ পার হয়ে হয়ে যায়। ৪.৩ ওভারে দলীয় ৪৩ রানের মাথায় অ্যাশটন টার্নারের বলে অ্যাগারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ১৩ রান করে ফিরে যান মেহেদী হাসান।
পরে ওয়ানডাউনে সাকিব নামলেও তেমন একটা সুবিধা করতে পারেননি। আগের ম্যাচের মতোই পিচে স্ট্রাগল করতে থাকেন। দলীয় ৬০ রানের মাথায় ২০ বলে ১১ রান করে ফিরে যান তিনি। তার আগে ২৩ বলে ২৩ রান করে আউট হন অপর ওপেনার নাইম শেখ। এরপর ক্রিজে আসেন সৌম্য সরকার। কিন্তু ব্যাটিং পজিশন পরিবর্তন হলেও তার ফর্ম আগের মতো রয়ে যায়। ১৬ রান করে আউট হয়ে যান।
এছাড়া অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ করেন ১৯ ও আফিফ হোসেন ১০। বাকিদের মধ্যে আর কেউ বলার মতো স্কোর করতে পারেননি। শেষদিকে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন অজি বোলাররা। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের কারণেই ১২২ রানের বেশি করতে পারেনি স্বাগতিকরা।