বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) আচরণবিধি ভাঙায় পেসার শরিফুল ইসলাম শাস্তি পেলেন। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যান মিচেল মার্শকে আউট করে আগ্রাসী উদযাপন করায় শাস্তি দেওয়া হয় তাকে।
তিরস্কারের পাশাপাশি শাস্তি হিসেবে শরিফুলের নামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট। আইসিসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শরিফুলের শাস্তির কথা জানিয়েছে।
৫ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে শুক্রবার (৬ আগস্ট) ১৮তম ওভারে ঘটনাটি ঘটেছে। আউট হয়ে ফেরার সময় মার্শের খুব কাছে গিয়ে চিৎকার করেন শরিফুল। বাংলাদেশি পেসারকে এ কারণেই এমন শাস্তি দেওয়া হলো।
আম্পায়ারের রিপোর্টের ভিত্তিতে ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশীদ শরিফুলকে এ শাস্তি দেন। শাস্তি মেনে নেওয়ায় শুনানির প্রয়োজন পড়েনি। ক্যারিয়ারের শুরুতেই একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়ে গেলেন শরিফুল।
যদিও মার্শের মাধ্যমেই ঘটনার শুরুটা। ইনিংসের শুরুর দিকে তিনি শরিফুলকে উদ্দেশ্য করে কিছু একটা বলেন। শরিফুলের শর্ট বলটা আড়াআড়ি খেলতে যাওয়া মার্শ কিছু একটা বলেছিলেন শরিফুলকে। টাইগারদের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ এর জবাব দেন। পরে আম্পায়ার এসে শান্ত করেন পরিস্থিতি।
এর আগে নাসুম আহমেদের লেগসাইডের বলটা টেনে মারতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে শরিফুলের হাতে ধরা পড়েন ওয়েড। অজি অধিনায়ক ৫ বলে মাত্র এক রান করেই সাজঘরের পথ ধরেন। এরপর বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ান মার্শ ও বেন ম্যাকডারমট। তবে ম্যাকডারমটকে সাজঘরে ফেরান সাকিব। এরপরই ময়েস হেনরিক্সকে ফেরান শরিফুল। এরপর শরিফুলর দ্বিতীয় শিকার হন হাফ সেঞ্চুরি করা মার্শ। তখনই উল্লাসে মেতে উঠায় শাস্তি পেলেন বাঁহাতি পেসার।
ম্যাচটিতে অবশ্য ১০ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। এই জয়ে ৫ ম্যাচ সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে নিশ্চিত করেছে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের দেওয়া ১২৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১১৭ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা।
এই সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২৩ রানে অস্ট্রেলিয়াকে হারায় বাংলাদেশ। শুরতে ব্যাট করে সফরকারী দলকে ১৩২ রানের টার্গেট দিয়ে নাসুম আহমেদের ঘূর্ণিতে জয় পায় টাইগাররা। ১৯ রান দিয়ে একাই ৪ উইকেট তুলে নেন সিলেট থেকে বেড়ে ওঠা নাসুম। ব্যাট হাতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেছিলেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ম্যাচসেরা হন নাসুম।
দ্বিতীয় ম্যাচে রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা জয় পায় ৫ উইকেটে। এবার অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ১২২ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। আফিফ করেন ৩৭ রান। সাকিব ও নুরুল হাসান করেন যথাক্রমে ২৬ ও ২২ রান।