তামিমের অসাধরণ সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতেছে ৫ উইকেটে।
প্রথমে ব্যাট করে রেজিস চাকাভার ৮৫, সিকান্দার রাজা আর রায়ান বার্লের ঝড়ো দুই ফিফটিতে জিম্বাবুয়ে করেছিল ২৯৮ রান। তামিমের ৯৭ বলে ১১২ রান আর ছয়ে নামা সোহানের ৩৯ বলে ৪৫ রানে ২ ওভার আগেই জিতে যায় লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। এই জয়ে ওয়ানডে সুপার লিগের মূল্যমান ৩০ পয়েন্টের পুরোটাই পকেটে পুরল বাংলাদেশ।
গতকাল মঙ্গলবার তিনশো ছুঁইছুঁই রান তাড়ায় দুই ওপেনার আনেন দারুণ শুরু। লিটন দাস দৃষ্টিনন্দন বাউন্ডারিতে দ্রুত রান বাড়ানোর কাজটা শুরু করেন তিনিই। তামিম আত্মবিশ্বাস পেয়ে খেলতে থাকেন আগ্রাসী মেজাজে। দুই পাশেই রান আসতে থাকায় অনায়াসে এগুতে থাকে বাংলাদেশের রানের চাকা।
জিম্বাবুয়ের স্পিন আক্রমণে আসতেই লিটনকে ফিরতে হয় সাজঘরে। ওয়েসলি মাধভেরেকে সুইপ করতে গিয়ে সহজ ক্যাচ উঠিয়ে দেন প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরিয়ানের ব্যাট থেকে আসে ৩৭ বলে ৩২ রান।
দ্বিতীয় উইকেটে সাকিবকে নিয়েও তামিমের জমে যায় আরেক জুটি। এবারও কোন স্বাচ্ছন্দ্যেই বেরুতে থাকে রান। আগের ম্যাচে হিরো সাকিব এদিনও দেখা দেন ছন্দে। ৫৯ রানের জুটির পর সাকিবকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রো আনেন লুক জঙ্গুই। তার অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ৩০ রান করা সাকিব।
আজ সেরা অবস্থায় ছিলেন তামিম। বোলারদের উপর দাপট দেখিয়ে খেলা করে দেন সহজ। মাত্র ৮৭ বলে ক্যারিয়ারের দ্রুততম সেঞ্চুরি তুলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ওয়ানডেতে এটি তার ১৪তম শতক। শেষের দিকে সোহান ও আফিফ হোসেনের দারুন ব্যাটিংয়ে জয়ের বন্দরে পৌছে যায় টাইগাররা।
সেঞ্চুরি করা তামিম ইকবাল হন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। আর ম্যান অব দ্য সিরিজ হন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।