আগের ম্যাচে গোড়ালিতে চোট পাওয়ায় খানিক সংশয় জেগেছিল। তবে সব শঙ্কা, সংশয় উড়িয়ে দিয়ে ফাইনাল ম্যাচের শুরু থেকেই খেলছেন আর্জেন্টিনা দলের অধিনায়ক লিওনেল মেসি। আর ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচটিতে মাঠে নামার মাধ্যমেই এ রেকর্ড গড়ে ফেললেন তিনি।
কোপা আমেরিকার ইতিহাসে এখন সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা ফুটবলারের নাম লিওনেল মেসি। চলতি আসরের ফাইনালসহ মোট ৩৪টি ম্যাচ খেললেন তিনি। তবে এ রেকর্ডে মেসি একা নন। ১৯৫৩ সালের চিলির গোলরক্ষক সার্জিও লিভিংস্টোন ঠিক ৩৪ ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়ে গেছেন।
ফাইনাল ম্যাচটিতে মেসির সামনে রয়েছে আরেকটি রেকর্ডে নিজের নাম লেখানোর। চলতি আসরে ৪ গোলসহ কোপা আমেরিকায় মেসির মোট গোলসংখ্যা ১৩টি। এ টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ১৭ গোলের রেকর্ড রয়েছে ব্রাজিলের জিজিনহো এবং আর্জেন্টিনার নর্বার্তো মেন্ডেজের।
কিছুটা অবিশ্বাস্য শোনালেও, ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে যদি ৪ গোল করতে পারেন মেসি, তাহলে জিজিনহো এবং মেন্ডেজের সমান ১৭ গোল হয়ে যাবে মেসিরও। তবে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ব্রাজিলের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করলেও, কখনও ৪ গোল করতে পারেননি মেসি।
সেটি না করতে পারলেও কোপায় সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় লোলো ফার্নান্দেজ ও সেভেরিনো ভারেলা (দুজনই ১৫ গোল) কিংবা পাওলো গুরেরো ও এডুয়ার্ডো ভারগাসকে (দুজনই ১৪ গোল) ছোঁয়ার সুযোগ থাকছে মেসির সামনে। কোপায় মেসির সমান ১৩ গোল রয়েছে ছয়জন ফুটবলারের।
ফাইনালে ম্যাচে খেলা নিয়ে অনেক অনিশ্চয়তা ছিল আর্জেন্টিনা দলের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোর। অবশেষে তাকে নিয়েই সাজানো হয়েছে একাদশ। লাউতারো মার্টিনেজকে মাঝে রেখে ৪-৩-৩ ফর্মেশনে একাদশ সাজিয়েছেন স্কালোনি।
অন্যদিকে সেমিফাইনালের মতো এ ম্যাচেও ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে একাদশ সাজিয়েছেন ব্রাজিল কোচ তিতে। তবে সেমিফাইনালে স্ট্রাইকার পজিশনে ছিলেন রিচার্লিসন। ফাইনালে নেইমারকে স্ট্রাইকার পজিশনে দিয়ে একই ফর্মেশনে দল সাজিয়েছেন ব্রাজিল কোচ।
আর্জেন্টিনার শুরুর একাদশ: এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, গ্যাব্রিয়েল মন্টিয়েল, ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো, নিকোলাস ওটামেন্ডি, মার্কস আকুনা, রদ্রিগো ডি পল, লেয়ান্দ্র পারেদেস, জিওভানি লো সেলসো, লাউতারো মার্টিনেজ, লিওনেল মেসি ও অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া।
ব্রাজিলের শুরুর একাদশ: এডারসন মোরায়েস, দানিলো, মার্কুইনহোস, থিয়াগো সিলভা, রেনাল লোদি, ক্যাসেমিরো, লুকাস পাকুয়েতা, ফ্রেড, এভারটন রিভেইরো, নেইমার ও রিচার্লিসন।