টানা ৩১টি ম্যাচে অপরাজিত ইতালি। ২য় দল হিসেবে আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো তারা। রাউন্ড অব সিক্সটিন থেকেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে অস্ট্রিয়াকে।
এবারের ইউরোর হট ক্যান্ডিডেট ইতালি। গ্রুপপর্বে তারা খেলেছেও সেভাবে। রবার্তো মানচিনির তরুণ আর অভিজ্ঞদের মিশেলে বানানো দলটা যেকোনো প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিতে পারে। তাদের কাছে অস্ট্রিয়া স্রেফ নস্যি হওয়ার কথা। অথচ, ওয়েম্বলিতে কতকিছুই না ঘটে গেল! অনিশ্চয়তার ফুটবলে আরও একটা অঘটনের গল্প লেখা যেত। ডেভিড আলাবাদের দুর্দান্ত নৈপুণ্যের ছবি মানসপটে বহুদিন এঁকে রাখতো অস্ট্রিয়ানরা। কিন্তু হলো কই?
হতে হতেও হচ্ছিলো না। ৬৫ মিনিটে যাও আবার হলো, ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তি জানালো, গোল বাতিল। ৪ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে নকআউটে এমন গোল হারানোর কষ্ট কতোদিন কুঁড়ে কুঁড়ে খাবে অস্ট্রিয়ার ফুটবলারদের, কে জানে!
নব্বই মিনিটের খেলায় ইতালিয়ানদের ব্যর্থতার কথাই বেশি। প্রায় ২০ বারের মতো অস্ট্রিয়ার রক্ষণে হানা দিয়েছে তারা, তবে পায়নি কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। মাঠে নেমে আবারো আক্রমণাত্মক ইতালি। ৫ মিনিটের মাথায় তাদের লিড। চিয়েসার গোলে এগিয়ে যায় নেরাজ্জুরিরা। মিনিট দশেক পর আবারো ইতালির লিড। এবার গোলদাতা পেসিনা। স্কোরকার্ড ২-০।
তারও মিনিট দশেক পর আবারো খেলায় প্রাণ ফেরে কালাজিচের গোলে। অস্ট্রিয়ান এই ফরোয়ার্ড স্বপ্ন দেখান ম্যাচে ফেরার। কর্নার কিকের শটটা মাটিতে ঝাঁপ দিয়ে হেডের মাধ্যমে যেভাবে বল জালে পাঠিয়েছেন, তাতেই অস্ট্রিয়ানদের ম্যাচে ফেরার তাড়না ফুটে ওঠে। এদিকে ১১ ম্যাচ পর গোল হজম করতে হলো ইতালিকে। আজকের আগে টানা ১১ ম্যাচে কোন গোল খায় নি তারা।
শেষ কয়েকটা মিনিটেও প্রাণপণ লড়েছে অস্ট্রিয়া। সুযোগ পেয়েছে ইতালিও। তবে স্কোরলাইন রইলো ওই ২-১। এনিয়ে টানা ৩১টি ম্যাচে অপরাজিত তারা। ২য় দল হিসেবে আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো ইতালি। রাউন্ড অব সিক্সটিন থেকেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে অস্ট্রিয়াকে।