ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে আচরণবিধি ভাঙায় চার ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন মোহামেডান অধিনায়ক ও বিশ্বের অন্যতম সেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান। মোহামেডানের ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামান এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল শুক্রবার (১১ জুন) আবাহনীর বিপক্ষে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে লাথি দিয়ে স্টাম্প ভাঙায় সাকিবকে এই শাস্তি দেওয়া হলো।
ঘটনাটা ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসের। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ২৫ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় আবাহনী। এরপর নিজের প্রথম ওভারের শেষ বলে আবাহনীর অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের বিপক্ষে এলবিডব্লিউর আবেদন করেন সাকিব। আম্পায়ার সাকিবের আবেদনে সাড়া না দিলে লাথি মেরে স্ট্যাম্প মোহামেডানের অধিনায়ক।
এর পরের ওভারে বৃষ্টি নামলে আম্পায়ার খেলা বন্ধ করলে সাকিব দুই হাতে স্টাম্প উপড়ে ফেলে মাটিতে আছড়ে মারেন।
মাঠ ছাড়ার সময় ফের ঝামেলায় জড়ান সাকিব। এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও আবাহনী লিমিটেডের প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গেও বাকবিতণ্ডা হয় তার।
প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ নিয়ন্ত্রক কমিটি সিসিডিএমের পক্ষ থেকে শনিবার (১২ জুন) সাকিব আল হাসানকে চার ম্যাচের জন্য নিষেধাজ্ঞার শাস্তি দেওয়া হলো।
মাঠে অসদাচরণের জন্য শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষমা চেয়েছেন সাকিব। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে সাকিব বলেন, ‘প্রিয় ভক্ত ও অনুসারীরা, নিজের মেজাজ হারানোর জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। সেই সঙ্গে ম্যাচের আবহ নষ্ট করার জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। বিশেষ করে যারা বাড়িতে বসে খেলা দেখছেন। আমার মতো একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের কাছে এমন আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। কিন্তু মাঝে মাঝে দুর্ভাগ্যবশত এ রকম হয়ে যায়। এই মানবিক ভুলের কারণে আমি দল, ম্যানেজমেন্ট ও টুর্নামেন্টের কমিটির কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আশা করছি ভবিষ্যতে আর এমনটা হবে না। ধন্যবাদ, সবার জন্য ভালোবাসা। ’