গতকাল বুধবার চ্যাম্পিয়নস লিগে অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয় পাওয়া ম্যাচে লিওনেল মেসির একটি ঘটনায় শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা।
ওই ঘটনা জন্ম দিয়েছে বিতর্কেরও। তাই ম্যাচ শেষে আসল ঘটনা জানাতে দেরি করেনি ক্লাব কর্তৃপক্ষ। তাতে বিতর্ক কমেছে কিন্তু আলোচনা থামেনি।
অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালীন আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ডকে দেখা যায়, মাঝ মাঠে থেমে গিয়ে মোজার ভিতর থেকে কিছু একটা বের করে মুখে পুরলেন। তারপর আবার দৌড়! তিনি কী খেলেন, সেটা নিয়েই আলোচনা। অনেকে ধরে নিয়েছে শক্তিবর্ধক নেশাজাতীয় দ্রব্য খেয়েছেন মেসি।
পরে জানা গেল, ওটা কোনও নেশাজাত দ্রব্য ছিল না। ক্লান্তি কাটাতে গ্লুকোজ ট্যাবলেট মুখে নিয়েছিলেন মেসি। ম্যাচের মধ্যে গ্লুকোজ ট্যাবলেট সেবন কোনও অপরাধ নয়, বহুল প্রচলিতই বটে। সাধারণত ৯০ মিনিটের ম্যাচে শারীরিকভাবে সুস্থতা ধরে রাখতে এ ধরণের ওষুধ ফুটবলারদের খাওয়ার নিয়ম আছে বলে দাবি করা হয়েছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কায়। এই পদ্ধতিকে বলা হয়, ‘জেলি বেবি থিওরি’।
মার্কার বরাত দিয়েই জানা গেছে, অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে একটি গোল করে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় ১০০ গোল পূর্ণ করার দিন নিজের ক্লান্তি মেটাতে গ্লুকোজ ট্যাবলেট সেবন করেন মেসি। সেখানে বলা হয়, ‘মাঠে নামার প্রথম ১৫ মিনিটে শরীরের সবচেয়ে কার্যকরী অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো ঠিক রাখতে এই ধরনের ওষুধ সেবন করা হয়।’
সেখানে আরও জানানো হয়েছে, মেসি দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ করে আসছেন। কারণ, ম্যাচের আগে ও পরে তার বমি বমি ভাব হয়। সেটা কাটাতেই গ্লুকোজ ট্যাবলেটের উপর নির্ভর করেন তিনি। বার্সেলেনার কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দে নিজেও মেসির এই ব্যাপারটা নিয়ে অবগত।
ম্যাচের পর ভালভার্দে বলেন, ‘সে আজ গ্লুকোজ ট্যাবলেট সেবন করেছে কিনা আমি জানি না। তবে এটা যদি তাকে গোল করতে সাহয্য করে, তাহলে চাপ কমানোর জন্য সে গ্লুকোজ ট্যাবলেট খেতেই পারে। তবে হ্যাঁ, আমি জানি ফুটবলারদের জন্য গ্লুকোজ ট্যাবলেট খাওয়া খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার।’
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, ১৯ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসএফ