এবছর সর্বোচ্চ আয়ের মালিক ইউএফসির কনর ম্যাকগ্র্যাগর দুইয়ে-তিনে মেসি-রোনালদো

মেসি-রোনালদোদের পেছনে ফেলে ফোর্বসের সর্বোচ্চ আয় করা অ্যাথলিটদের তালিকায় শীর্ষে কনর ম্যাকগ্র্যাগর। আলটিমেট ফাইটিং চ্যাম্পিয়নশিপ- ইউএফসির এই তারকা গেলো বছরে আয় করেছেন মোট ১৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যেখানে ১৫৮ মিলিয়ন ডলারই এসেছে খেলার বাইরের খাত থেকে। সেরা দশে আছেন রজার ফেদেরার-নেইমাররাও।

ফুটবল মাঠ থেকে বাস্কেটবল কোর্ট, গলফ কোর্স থেকে ফাইটিং রিং; খেলোয়াড়রা উপহার দেন চোখ ধাঁধাঁনো পারফরম্যান্স। আর তাই দেখে চোখে প্রশান্তি কুড়ায় সাধারণ দর্শক। তবে খেলা তো কেবল খেলাই নয়। কালের বিবর্তনে বিনোদনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাণিজ্য। অ্যাথলিটরাও তাই নেশাকে বেছে নিতে পারেন পেশা হিসেবে। আর দর্শকপ্রিয়তার বিচারে বড় তারকাদের পেছনে টাকার বস্তা নিয়ে ছোঁটে স্পন্সর প্রতিষ্ঠানগুলো।

২০১২ সাল থেকে প্রতি বছরই তারকা অ্যাথলিটদের আয়ের একটা হিসেব প্রকাশ করে আসছে স্বনামধন্য মার্কিন বাণিজ্য বিষয়ক সাময়িকী ফোর্বস। ক্রীড়া ভক্তরাও খোঁজ রাখেন এই তালিকার। ২০১৯ সেরা লিওনেল মেসি কিংবা দুইবার এই লিস্টের শীর্ষে থাকা রোনালদোকে টপকে এবছর সর্বোচ্চ আয়ের মালিক ইউএফসির সবচেয়ে বড় নাম কনর ম্যাকগ্রেগর।

করোনা জর্জরিত বছরেও ১৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছেন এই আইরিশ ফাইটার। লড়াইয়ের খাঁচা থেকে ২২ আর ১৫৮ মিলিয়নই এসেছে পরোক্ষ খাত থেকে। যা কিনা ম্যাচের বাইরে এক বছরে কোনো অ্যাথলিটের সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড। এর আগে ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো ফোর্বসের সেরা দশের চার নম্বরে জায়গা করে নিয়েছিলেন ম্যাক।

তালিকার দুইয়ে আছেন লিওনেল মেসি। মাঠ থেকে ৯৭ আর মাঠের বাইরে ৩৩ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন এই আর্জেন্টাইন লিটল ম্যাজিশিয়ান। গেলো এক যুগ ধরে ফুটবল বিশ্বে যে নাম দুটো সর্বাধিকবার একত্রে উচ্চারিত হয়েছে, তাদের আলাদা করার সাধ্যি কার! তালিকার তিনে মাত্র ১০ মিলিয়ন ডলার কম নিয়েই আছেন সিআর সেভেন। ২০১৬-১৭ সালে ব্যাক টু ব্যাক এই খেতাবটা ছিলো পর্তুগীজ রাজপুত্রের দখলে।

সেরা পাঁচের বাকি দুজন আমেরিকান ফুটবলার ড্যাক প্রেসকট ও ল্যাকার্স\’র বাস্কেটবল সুপারস্টার লেবর্ন জেমস। ৯৫ মিলিয়ন ডলার কামিয়ে ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার আছেন ৬ নম্বরে। আর ৭ নম্বরে থাকা রজার ফেদেরার আয় করেছেন প্রায় ৯০ মিলিয়ন। বলাবাহুল্য, বিপুল এই অর্থের বড় একটা অংশই সামাজিক কাজে ব্যয় করে থাকেন কমবেশি সব তারকাই।

Scroll to Top