ডি বক্সের সামনে থেকে তার বাঁ পায়ের ফ্রি-কিক। বাঁকানো শটে গোলরক্ষক বলে হাত লাগালেও পরাস্ত হলেন গতির কাছে, বল খুঁজে নিল ঠিকানা। এই গোলেই ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় শততম গোলের মাইলফলক ছুঁলেন লিওনেল মেসি। দলের সেরা তারকার সেঞ্চুরির রাতটা বার্সেলোনা রাঙিয়ে রাখল জয় দিয়েই। ম্যাচের বেশিরভাগ সময় একজন কম নিয়ে খেলেও অলিম্পিয়াকোসকে সহজেই ৩-১ গোলে হারিয়েছে আর্নেস্তো ভালভার্দের দল।
চ্যাম্পিয়নস লিগে ‘ডি’ গ্রুপের এই ম্যাচে বুধবার রাতে ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে ১৮ মিনিটে বার্সেলোনা এগিয়ে যায় প্রতিপক্ষের ভুলে। গ্রিক ডিফেন্ডার দিমিত্রিস নিকোলাউয়ের আত্মঘাতী গোলে লিড পায় স্বাগতিকরা। পরের পাঁচ মিনিটে দুবার লিড বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল বার্সা। প্রথমে লুইস সুয়ারেজের ক্রস থেকে বল জালে জড়িয়েছিলেন পাওলিনহো। কিন্তু অফ সাইডের কারণে গোলটি বাতিল করে দেন রেফারি। এরপর ব্রাজিলিয়ান এই মিডফিল্ডারের হেড লাগে ক্রসবারে।
একটু পর সহজতম সুযোগ নষ্ট করেন সুয়ারেজ। মেসির বাড়ানো বল থেকে গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার। তার শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন অতিথি গোলরক্ষক প্রোতো। ৪২ মিনিটে আগে বড় ধাক্কা খায় বার্সা। হাত দিয়ে বল জালে ঠেলে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ডিফেন্ডার পিকে। এটা তার ক্যারিয়ারের দশম লাল কার্ড, আর ৯২ ম্যাচ পর চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথম।
দ্বিতীয়ার্ধে ৬১ মিনিটে মেসির ওই চমৎকার ফ্রি-কিক গোল। মাত্র দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় একশ গোল করলেন বার্সার আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। প্রথমজন রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। রোনালদোর তিন অঙ্ক ছুঁতে লেগেছিল ১৪৩ ম্যাচ। সেখানে মেসির লাগল মাত্র ১২২ ম্যাচ। চ্যাম্পিয়নস লিগে মেসির গোল হলো ৯৭টি। রোনালদোর গোল ১১০টি।
তিন মিনিট পর স্কোরলাইন ৩-০ করে বার্সার জয় নিশ্চিত করে ফেলেন লুকাস দিনিয়ে। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে অতিথিদের হয়ে সান্ত্বনাসূচক গোলটি করেন নিকোলাউ।
টানা তিন জয়ে পূর্ণ ৯ পয়েন্ট নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপের শীর্ষে আছে বার্সেলোনা। গ্রুপের অন্য ম্যাচে স্পোর্টিং লিসবনকে ২-১ গোলে হারিয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে জুভেন্টাস। ৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্পোর্টিং। অলিম্পিয়াকোস এখনো পয়েন্টের খাতাই খুলতে পারেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, ১৯ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসপি