আগামী ২০২৪ সাল থেকে ৩২ দলের পরিবর্তে ফুটবলের জনপ্রিয় আসর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ হবে ৩৬ দল নিয়ে। গ্রুপ পর্ব বিলুপ্ত করে, ওয়ান লিগ সিস্টেম চালু করা হবে। প্রতিটি দল গ্রুপ পর্বে অন্তত ১০টি করে ম্যাচ খেলবে। তবে অতিরিক্ত চার দলের বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে উয়েফা। নানা মহলের বাধা উপেক্ষা করেই নতুন ফরম্যাট নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন ইউরোপীয় ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান।
আজ সোমবার (১৯ এপ্রিল) উয়েফার কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বদলে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। ঘোষণা আসার কথা ছিল ৩১ মার্চ। তবে, নতুন এই ফরম্যাটের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা বা ঝুঁকির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে চেয়েছিল অনেক ক্লাবই। সে জন্যই তিন সপ্তাহ পিছিয়ে সভায় বসছে উয়েফা এক্সিকিউটিভ কমিটি। এর আগে গত শুক্রবার টুর্নামেন্ট কমিটির সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল ইউরোপীয় ক্লাব অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড।
এত দিন ৮ পুলের ৩২ দল নিয়ে গ্রুপ সিস্টেমে ইউসিএলের খেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ৩৬ দলীয় এক লিগ সিস্টেমের প্রচলন হবে কি না, নির্বাহী কমিটির ভোটে তা চূড়ান্ত হবে। নতুন ফরম্যাটে বাড়বে ম্যাচ সংখ্যা। ৬ ম্যাচের পরিবর্তে ১০টি করে ম্যাচ খেলবে প্রতিটি দল। এক মৌসুমে ১২৫ থেকে বেড়ে মোট ম্যাচ সংখ্যা হবে ২২৫।
শীর্ষ আট দল সরাসরি যাবে নকআউট পর্বে। আর নবম থেকে ২৪তম- এই ১৬ দল থেকে প্লে অফ খেলে উঠবে আরও ৮ দল। তবে, পুরো প্রক্রিয়ায় রয়েছে বড় এক বিতর্ক। অতিরিক্ত চার দলের মধ্যে দুটিকে ইউরোপীয় আসরে পূর্ব ইতিহাসের ভিত্তিতে জায়গা দেয়া হবে। অর্থাৎ ইউরোপা লিগ কিংবা ইউরোপা কনফারেন্স লিগের পজিশনের ভিত্তিতেও কোয়ালিফাই করার সুযোগ থাকছে তাদের। সেক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাবে বড় ক্লাবগুলোই। এই তত্ত্বের সমালোচনা করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও আর্সেনালের মতো জায়ান্ট ক্লাবগুলোও। অনেকেই এ ফরম্যাটকে দেখছেন, ধনী ক্লাবের আরও ধনী হওয়ার উপায় হিসেবে।
শুধু কি তাই, ইউসিএলের ম্যাচ বাড়লে, অন্য ঘরোয়া আসরগুলোর সূচি নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে। এরই মধ্যে এ নিয়ে উয়েফাকে চিঠি পাঠিয়েছে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন- এফএ। ঝামেলা থাকবে প্রিমিয়ার লিগের সূচি নিয়েও। তবে, নানা মহলের সমালোচনার পরও নতুন ফরম্যাট বাস্তবায়নে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উয়েফা।
ইউরোপীয় ক্লাব অ্যাসোসিয়েশন চেয়ারম্যান আন্দ্রেয়া আগনেলি জানান, ‘কিছু বিষয় নিয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। চারটা নতুন দলকে কি প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে, এটাই মূলত আলোচ্য। তবে, আমাদের আশা সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান হবে। শুধু চ্যাম্পিয়নরাই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলবে না, এটা প্রচলনের সময় খুবই অস্বাভাবিক মনে হয়েছিল। কিন্তু পরে সবার কাছে স্বাভাবিক হয়ে গেছে। প্রয়োজন হলে, নিয়ম পরিবর্তনে আমি কোনো দোষ দেখি না।’
কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের স্বাগতিক ভেন্যুগুলোও চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে।
